বৃহস্পতিবার ● ২৯ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » শিক্ষা » ১ নভেম্বর জেএসসি-জেডিসিতে বসছে সোয়া ২৩ লাখ শিক্ষার্থী
১ নভেম্বর জেএসসি-জেডিসিতে বসছে সোয়া ২৩ লাখ শিক্ষার্থী
ঢাকা : জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা-২০১৫ আগামী ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে।এ বছর ২৮ হাজার ৬৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ জন শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে শিক্ষা সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন । এবারের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট ( জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র, ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য বিষয়ের পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্নে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি জানান, এবারের ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৩ জন ছাত্রী; আর ছাত্র ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬৭০ জন।এই হিসেবে ছাত্রদের চেয়ে এক লাখ ৬০ হাজার ৫৯৩ জন বেশি ছাত্রী পরীক্ষা দেবে এবার।এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে জেএসসি পরীক্ষা দেবে ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৪৪৭ জন। আর জেডিসিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন লাখ ৫৮ হাজার ৪৮৬ জন।২০১৪ সালে এ পরীক্ষায় ২০ লাখ ৯০ হাজার ৬৯২ জন অংশ নিয়েছিল। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে দুই লাখ ৩৫ হাজার ২৪১ জন।শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার দুই হাজার ৬২৭টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৬৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে। বিদেশের আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৮৫ জন।গত বছর এক হাজার ৮০৩টি কেন্দ্রে ১৮ হাজার ৮১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষা দিয়েছিল। শ্রবণ প্রতিবন্ধীসহ অন্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা এবারও অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় পাবে। এছাড়া দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই তারা শ্র�তি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন।প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রালপলসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়া সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।তিনি বলেন, এ পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্রে দুটি বিভাগ থাকলেও দুটি অংশ মিলে ৩৩ পেলেই পাস বলে গণ্য হব্ েঅর্থাৎ এসএসসির মত দুটি অংশে আলাদা আলাদা পাসের প্রয়োজন নেই। জেএসসি-জেডিসি পাবলিক পরীক্ষা নয়, জাতীয় লেভেলের পরীক্ষা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় আরও উদ্যমী ও আত্মবিশ্বাসী হিসেবে গড়ে উঠবে।মন্ত্রী বলেন, এখন প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া খুবই কঠিন হবে। মূল জায়গাগুলোকে মজবুত করার চেষ্টা করেছি। বিজি প্রেস থেকে কেউ প্রশ্ন নিয়ে আসা তো দূরে থাক, প্রশ্ন মুখস্ত করেও আসতে পারবে না। কোচিং সেন্টারগুলো প্রশ্ন ফাঁস করতে তাকিয়ে থাকে। আরেকটা কাজ তারা করে- তা হল সাজেশন, এগুলো বেআইনি। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে যে আইন রয়েছে তার বাস্তব প্রয়োগ কখনো হয়নি মন্তব্য করে নাহিদ বলেন, আইনটি আরও কড়াকড়িভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করছি। প্রয়োজন হলে প্রশ্ন ফাঁস আইন সংশোধন করে আরও কার্যকর করব।প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি রয়েছে এমন ৫০০ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবার জেএসসি-জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে বলে জানান তিনি।