বুধবার ● ২১ অক্টোবর ২০১৫
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » অবশেষে সাথির বিয়ে হলো না
অবশেষে সাথির বিয়ে হলো না
আদিল হোসেন তপু: ভোলার ধনিয়া ইউনিয়ানে ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বিয়ের এঙ্গেজ করানের নামে বাল্য বিবাহ দেয়ার চেষ্টা করে তার পরিবার। পরে সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করা হয়। তবে মেয়ের পরিবার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমাদের বাড়ীতে ঢাকা থেকে মেহমান এসেছে। কোন বিয়ের আয়োজন নয়।
জানাযায়, বুধবার দুপুরে ধনিয়া ইউনিয়ানের ৪নং ওয়ার্ডের ইলিয়াছ মিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী আক্তারকে তার বাবা আলাউদ্দিন বিয়ের এঙ্গেজ করানোর কথা বলে বাল্য বিবাহ দেয়ার চেষ্টা করে। দুপুরে বিয়ে কাজ সম্পন্ন করাকে কেন্দ্রকরে তাদের বাড়ীতে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় কিছু লোক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বাল্য বিবাহ ঠেকানোর জন্য সাংবাদিকদের খবর দেয়। পরে সাংবাদিকরা ঐ বাড়ীতে পৌঁছালে তারা মেয়েকে লুকিয়ে রাখে। পরে তাকে বেড় করে আনে। এসময় সাথীকে বিয়ের পড়ানোর সাজে স্বজ্জীত করা হয়। এসময় সাথী বলেন, আমি পড়াশোনা করতে চাই। বিয়ের উপযুক্ত বয়স হলে তারপরে আমি বিয়ের পিড়িতে বসতে চাই। আর পরিবারের পক্ষ থেকে সাথীর বিয়ে পড়ানোর কথা অস্বীকার করেন। ধনিয়া ইউনিয়ানের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজিজুল হক জানান, আমি বাল্য বিবাহের কথা শুনে ঐ বাড়ীতে ছুটে গিয়েছি। পরিবার সাথে এব্যাপারে কথা বললে তারা জানায়, বাল্য বিবাহ নয় আমরা মেয়ের এঙ্গেজম্যান্ট করতে চেয়েছি। যেহেতু এটা সাংবাদিকরা যেনে গেছে সেখানে এই বিয়ে এখন হবেনা বলে নিশ্চিয়তা প্রদান করে।
এব্যাপারে ধনিয়া ইউনিয়ানের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবীর বলেন, আমি বাল্য বিবাহ পড়ানোর কথা শুনে ঐ বাড়ীতে স্থানীয় মেম্বারকে পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করি। এবং সাথীর বাবা আলাউদ্দিনকে জানানো হয়, মেয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত যেন মেয়েকে বিয়ে দেয়া না হয়। একই সঙ্গে তাকে বাল্য বিবাহ পড়ানোর হলে সরকারি আইনে তার শাস্তি হবে বলে জানাই।
এদিকে এঙ্গেজ করানোর কথা বলে বাল্য বিবাহ দেয়ার চেষ্টার কথা এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।