সোমবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলার মেঘনায় মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৩১ জেলের জেল-জরিমানা
ভোলার মেঘনায় মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৩১ জেলের জেল-জরিমানা
স্টাফ রিপোর্টার• ভোলার মেঘনা নদীতে মা ইলিশ ধরার অপরাধে ৫টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৩১ জেলেকে আটক করা হয়েছে। সোমবার ভোররাতে জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করেন। পরে ২৯ জনকে ১ বছর করে কারাদন্ড এবং ২ জনকে ৫ হাজার টাকা অর্থদ- দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. কামাল হোসেন।
ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য সম্পদ কর্মকর্তা পলাশ হালদার জানান, ইলিশ রক্ষায় রোববার রাত ১১টা থেকে সোমবার বিকেল ৩টা (এ রিপোর্ট লেখা) পর্যন্ত জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে একটি যৌথ টিম মেঘনায় অভিযানে নামে। মেঘনা নদীর ইলিশা, মাঝের চর, গাজীপুর চর ও কাঠিরমাথা এলাকা থেকে ৪টি বোটসহ ৩১ জেলেকে আটক করে। এছাড়াও ৫০ কেজি ইলিশ ও ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। পরে আটকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে আদালত ২৯ জনের ১ বছর করে জেল ও ২ জনের প্রত্যেকের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জব্দকৃত জাল মেঘনা তীরে পুড়িয়ে ফেলা হয় এবং মাছ বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জেলে বলেন, ‘আমরাই ধরা খেলাম, অথচ অনেক বড় মিয়া আছে, যারা গোপনে মাছ ধরছে, আবার মাছ মজুদ করছে। তাদের কেউ ধরে না। এ ছাড়া এখন জালে মাছ পড়তে শুরু করেছে। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরছি।’ একই কথা আরো কয়েকজনের।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট সাজ্জাদ জানান, সরকার গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ৯ অক্টোবর পর্যন্ত মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১শ’ ৯০ কিলোমিটার এলাকায় মা ইলিশ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে। সে সঙ্গে তা মজুদ, বিক্রি ও বহন করাও অপরাধ বলে গণ্য হবে। যারাই এ আইন অমান্য করবে, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে। এতে কোনো ধরনের আপস করা হবে না।
জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘যত বড় প্রভাবশালীই হোন, সরকারের আইন তাকে মানতেই হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সবার বিরুদ্ধেই অভিযান চালানো হবে। প্রতিদিন নদীতে টহল দেবেন ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য কর্মকর্তারা।