রবিবার ● ৯ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় ইউএনও এর হস্তক্ষেপে শিশুবিবাহ বন্ধ
ভোলায় ইউএনও এর হস্তক্ষেপে শিশুবিবাহ বন্ধ
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলায় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী তোফায়েল হোসেন এর হস্তক্ষেপে ভেলুমিয়া ইউনিয়ানের এক শিশুর শিশুবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। রোববার রাতে ভেলুমিয়া ইউনিয়ানের ৩নং ওয়ার্ডের টুঙ্গচর গ্রামের মালেক তশিলদারের মেয়ে সোনিয়া অক্তার এর সাথে পাশ্ববর্তী ১নং ওয়ার্ডের আঃ রব এর ছেলে রেজাউল করিম রাশেদ এর সাথে শিশুবিয়ে দেয়ার পস্তুতি চলছিল।
এসময় খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্ত কাজী তোফায়েল হোসেন ঘটনা স্থলে ঘিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এদিকে বিয়ে পরাতে আসা লোকজন জনইউএন্ও আসার কথা শুনে স্থানীয় কাজী কালিমুল্ল্া ও বর পক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়।
জানা যায় যে, ভেলুমিয়া ইউনিয়ানের টুঙ্গচর গ্রামের মালেক তশিলদারের ছোট মেয়ে সনিয়া আক্তার। স্থানীয় খালেদা খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনীতে অধ্যায়ন করছে। কিন্তু তার বাবা মালেক তশিলদার মেয়ের সনিয়ার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্কুল বন্ধকরে দিয়ে শিশু বিবাহ দিচ্ছিল। পরে স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ছিদ্দিক মেম্বার ও ৭নং ওয়ার্ডের হিরন মেম্বার এসে ১৮ বছর আগে কোন বিবাহ দিবে না বলে প্রতিঙ্গা করেন।
এসময় ইউএনও কাজী তোফায়েল হোসেন সবার উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ১৮ বছর আগে কোন মেয়ের বিয়ে হলে তাকে শিশু বিবাহ বলে । এর আগে কেউ যদি কার সন্তানদের ১৮ বছর আগে বিয়ে দেয় তাহলে সরকারের আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি পেতে হবে। শুধু তাই নয় ১৮ বছর আগে বিয়ে হলে শিশুর সন্তান নিলে শিশুর পেটে শিশুর জন্ম হয়। ফলে সেই শিশুর শরীর ভেঙ্গে যায়। ফলে সমাজে বহু বিবাহ বেরে যায়, শিশু মিত্যুার হার বেড়ে যায়,মাতৃমিত্যুর হার বেড়ে যায় । ফলে সমাজ ব্যাবস্থা ভেঙ্গে পরবে। তাই শিশু বিবাহ বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান। এসময় ইএন্ও এর সাথে ছিলেন - ভোলা থানার এএসআই মো:মনিরুজ্জামান সহভেলুমিয়া ফারির পুলিশের কনেস্টবল বৃন্ধ।