শনিবার ● ৮ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » চরফ্যাশনে কো-ইড সংস্থার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
চরফ্যাশনে কো-ইড সংস্থার ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান সংস্থার (কো-ইড) স্কুলের ম্যানেজার আছলাম আলীর বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নবগঠিত মুজিব নগর ইউনিয়নে অবস্থিত মুজিব নগর কো-ইড স্কুলে গত ২২ জুন/১৫ইং তারিখে ইয়াছিন সুমন নামক অফিসার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে স্কুল পরিদর্শনে যায়। তিনি স্কুলে গিয়ে মনির নামক সহকারী শিক্ষককে না পেয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে তার অনুপস্থিতির কথা জানতে চাইলে, সে যথাযথ উত্তর দেয়। তাতে অফিসার সুমন প্রধান শিক্ষকের উত্তর সন্তোষজনক মনে না করে ম্যানেজার আছলাম আলীকে অবহিত করে। তারপর ওই অপরাধে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্থ করে । গত ২৭ জুলাই/২০১৫ইং তারিখে সহকারী শিক্ষক মনিরকে স্কুলে যেতে নিষেধ করেন। কারণ জানতে চাইলে সে বলেন আমি আপনাকে না বলেছি আপনি আর স্কুলে যাবেন না। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক জসিম তার চাকুরী বহাল রাখতে ম্যানেজার আছলামকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তার বিরুদ্ধে বরখাস্ত প্রত্যহার করে স্কুলে নিয়মিত যাওয়ার অনুমতি পায়। পরে সহকারী শিক্ষক মনির ওই অফিসার (সুমন) কে জিজ্ঞাসা করলে সে বলেন, স্কুলের সভাপতি মফিজল সরকারের পুত্র গ্রাম্য ডাক্তার কামরুলের স্ত্রী ছাবরিনা কে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপনার কোঠায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আপনি যদি নিজ কোঠায় বহাল থাকতে চান তাহলে ৫০ হাজার টাকা দিলে ছাবরিনার টাকা ফেরত দিয়ে আপনাকে বহাল রাখা হবে। তিনি আরো বলেন প্রধান শিক্ষক তার স্বপদে বহাল থাকার জন্য ম্যানেজারকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছে। এসকল টাকা অফিসে আমজাদ, মঞ্জু ও ম্যানেজার ভাগ করে নেয়।
ইতিপূর্বে আছলাম আলী ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে ঐ অফিস থেকে চাকুরী হারান, পরে আবার চাকুরীরত অফিসারগণ সংস্থার পরিচালক (এফএইচ হাইড) মিঃ হাইড-কে বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে আবার আছলামকে চাকুরীতে যোগদান করান। কারণ আছলামের ঘুষ বাণিজ্যের ভাগ তারাও পায় তাই তার জন্য সুপারিশ করে চাকুরী বহাল করেন।
এব্যাপারে ম্যানেজার আছলাম আলীর সাথে আলাপ করতে তার মুঠো ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।