বুধবার ● ১৩ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » ১৫ বছর বিনা বেতনে পাঠদান
১৫ বছর বিনা বেতনে পাঠদান
আদিত্য জাহিদ, বিশেষ প্রতিনিধি:: জীবিকার প্রয়োজনে সরকারী সকল প্রকার অনুমোদন নিয়ে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ছাত্রীদের বিনা বেতনে পাঠদান কার্য চালিয়ে যাচ্ছে। ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ৩৬ টি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রতিবছর ভালো ফলাফল অর্জন করলেও দক্ষিণ আইচা শওকত আরা নিন্ম মাধ্যামিক বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারীরা জীবনযাপন করছে অর্ধাহারে অনাহারে । একই সময়ে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও এ বিদ্যালয়ের ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি আজও ।
শওকত আরা বালিকা নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক ফিরোজ জানান,( ২০০০ সাল ) তৎকালীন অত্র এলাকার শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের শিক্ষাদান ও নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য স্থাণীয় শিক্ষিত বেকার যুবদের নিয়ে পাঠশালার অবকাঠামো, ফার্নিসার, তৈরি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠদানের অনুমতি নিয়ে দীর্ঘ ১৫টি বছর সুনামের সাথে পাঠদান চালাচ্ছি। প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রীদের নামে উপবৃত্তির কয়েকটি নাম ব্যাতিরেকে আর কোন সুবিধাই আজ পযন্ত পাইনি। প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক/শিক্ষিকা ও দপ্তরী, আয়ার প্রত্যোকের মুখে বার্ধ্যকের ছাপ পড়েছে।
বিদ্যালয় ভবনটির অবস্থাও একেবারে নাজুক। যেকোন সময় ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে পড়তে পারে। বিগত মহাসেনের সময় ভবনটির আংশিক ক্ষতি সাধন হলেও আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সামালগীর আলমের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, বিদ্যালয় সম্পর্কিত সকল তথ্য অনলাইনে সরকারের নিকট জমা আছে। ৫/৬ বছর পুর্বে যখন নতুন প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এমপিও) মাসিক অর্থ প্রদানের আওতায় আনা হয়েছিল তখন বাছাই কমিটির ২য় বরাদ্ধের তালিকায় থাকার কারনে আজও এমপিওভুক্তি হয়নি।
শওকত আরা নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়া কুলসুমের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, ১৫টি বছর ছাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। বিনিময়ে তারা মাঝে মধ্যে কিছু টাকা বকশিশ দেয় এ দিয়ে ৬ জনের সংসারের ( ৩ ছেলে মানুষিক রোগী) ঘানি টানছি।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছর ১২০ জন ছাত্রীর মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন ছাত্রী উপবৃত্তির সুবিধা পাচ্ছে বলে সহকারী শিক্ষক কাজী হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন।