বুধবার ● ১৩ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাত্রীবাহি ট্রলার
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যাত্রীবাহি ট্রলার
স্টাফ রিপোর্টার::
ভোলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ের তান্ডবে সদর উপজেলার ইলিশা ফেরিঘাটের পল্টুনের র্যাম বিধ্বস্ত হওয়ার এক দিন পরও বিআইডব্লিউটিএ মেরামত করতে পারেনি। যার ফলে ভোলা-লক্ষীপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে ভোলা ইলিশা ফেরি ঘাটে ও লক্ষীপুরের মৌজুচৌধুী ঘাটে কয়েক‘শ যানবাহন আটক পড়ে রয়েছে। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় আটকে পড়া অনেক যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়ার মধ্যে উত্তাল মেঘনা নদী অবৈধ ভাবে ট্রলারে পাড়ি দিচ্ছেন। এতে করে যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হঠাৎ করে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হলে প্রচন্ড ঢেউ আর বাতাসের তোরে ইলিশা ফেরিঘাটের পল্টুনের র্যাম ছিড়ে নদীতে পড়ে যায়। যার ফলে সোমবার থেকে ভোলা ইলিশা ফেরিঘাট থেকে কোন ফেরি লক্ষীপুর যেতে পারেনি এবং লক্ষীপুর থেকেও কোন ফেরি ছাড়তে পারছে না। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া দুই পাড়ে শত শত যাত্রী ও পন্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে চরম দুভোর্গে রয়েছে। এ সুযোগে ইলিশা ফেরি ঘাটের প্রভাবশালীরা অবৈধ ভাবে ট্রলার চলাচলের ব্যবসা শুরু করেছে। আটকে পড়া অনেক যাত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেঘনা নদী অবৈধ ভাবে ট্রলার যোগে পাড়ি দিচ্ছে। এদিকে ভোলা ইলিশা ফেরি ঘাটের বিধ্বস্ত র্যাম মেরামতের জন্য বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র একটি টিম সোমবার বিকাল থেকে কাজ শুরু করে। বিআইডব্লিউটিএর সারেং মোঃ আবুল হোসেন জানান, মেরামত টিম কাজ শুরু করলে পল্টুনের টাওয়ার ও বটন ভাঙ্গা। তাই সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বরিশালের বিআইডব্লিউটি এর যুগ্ন পরিচালক মোঃ শাহজাল হক সাংবাদিকদের জানান, মাওয়া ঘাট থেকে একটি নতুন পল্টুন ভোলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। এদিকে ভোলা জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা বলেন, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে যাতে অবৈধ ভাবে কোন নৌযান না চলে তার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।