শনিবার ● ১২ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলার মেঘানা ও তেতুঁলিয়ায় ইলিশ ধরার অপরাধে ৪২ জেলের কারাদণ্ড
ভোলার মেঘানা ও তেতুঁলিয়ায় ইলিশ ধরার অপরাধে ৪২ জেলের কারাদণ্ড
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার মেঘানা ও তেতুঁলিয়া নদীতে ইলিশ ধরার অপরাধে গত চার দিনে ৫২ জন জেলেকে আটক করেছে জেলা ও উপজেলা মৎস্য বিভাগ। গত বুধবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত পৃথক ৩৯ টি অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। এসময় ৩টি মাছ ধরা ট্রলার, ৭০ হাজার মিটার জাল ও ১২ মন ইলিশ মাছ জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। পরে আটকৃতদের ভ্রাম্যমান আদালতে হাজির কারা হলে ৪২ জনকে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ জনের কাছ থেকে জড়িমানা আদায় ও কম বয়স্ক হওয়ার কারণে বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভোলা সদরের ইলিশা এলাকার মহসিন, ভেদুরিয়া এলাকার সাগর ও দৌলতখানের মেদুয়া এলাকার আব্বাস। মো. সিরাজ মাঝি, মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার, মো. দুলাল হাওলাদার, মো. হান্নান মোল্লা ও মো. আব্দুর রহিম। তারা সদরের শিবপুর ইউপির বাসিন্দা। জাকির হোসেন, করিম, আকবর হোসেন, মোঃ শাহিন, মাইনুদ্দিন, ফিরোজ, শরীফ, মোঃ নোমান ও মোঃ রাজিব এর বাড়ির লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের কুন্ডের হাওলা গ্রামে। এছাড়া মো: সাহাবউদ্দিন, বশিরউল্লাহ, হাবিবউল্যাহ, মো: সেলিম,মো: হাসনাঈন, মো: রিপন, মো: আজাদসহ প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মো: রাশেদকে ৩ জাজার টাকা জরিমান এবং বয়স কম হওয়ার কারনে মো: সুমনসহ বাকিদেরকে বেখুসুর খালাস প্রদান করেন। ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজাহারুল ইসলাম বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় মৎস্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে পুলিশ ও কোস্টগার্ড নিয়ে পৃথক ৩৯ টি অভিযান পরিচালনা করে ভোলা সদর, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলার মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৫২ জেলেকে জাল, ট্রলার ও মাছসহ আটক করা হয়। পরে আটকদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত অভিযুক্তদের জেল জড়িমানা প্রদান করেন। আটকৃত ইলিশ মাছগুলো ইতিমখানও দুস্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন সময়। এসময় মেঘনা- তেঁতুলিয়াসহ সব নদীতে ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
-এফএইচ