শনিবার ● ৪ জুলাই ২০১৫
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » লালমোহনে শাওন ঐক্য পরিষদের সভাপতি সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
লালমোহনে শাওন ঐক্য পরিষদের সভাপতি সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
লালমোহন প্রতিনিধি :: লালমোহনে শাওন ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরনবী দালালের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মলা দায়ের করা হয়েছ্। গত শুক্রবার লালমোহন পৌর শহরের ওয়েষ্ট্রান পাড়ার মৃত হাজী শামছল হকের স্ত্রী সাহিদা ৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে।
যানা গেছে, গত ৩০ জুন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে লালমোহন কামিল মাদ্রাসার পিছনে তাহের ডিলারের ছাত্রবাসে বাদীর ছোট মেয়ের সাথে লালমোহন কামিল মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র তজুমদ্দিন উপজেলার খাসের হাট বাজারের কাঞ্চন মাষ্টারের ছেলে সজিবের প্রেমের সম্পর্কের গড়ে ওঠে। তার সুবাধে ওই ছাত্রীকে ছাত্রবাসে নিয়ে আসে। এসময় স্থানীয়রা আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ছেলে মেয়ের সুষ্ঠ সমাধান দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করলেও ওই ছাত্রীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় আলোচনা ব্যার্থ হয়। এদিকে ছাত্রীর মা সজিবের সাথে নিজের মেয়ের বিবাহ দিতে ব্যার্থ হয়ে স্থানীয় শাকিল, মনির, নুরুন্নবী, বাবুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এদিকে মেয়ের বড় বোন বলেন , শাকিল আমাদের পরিবারের লোক হয়েও আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। শাকিল সহ অন্যরা সজিবকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে উল্টো তাকে আটকিয়ে রেখে চাদাঁ দাবি করেছে। অন্যদিকে নুরনবী দালালের ভাতিজা মামলার ২ নম্বর আসামী শাকিলের সাথে যোগাযোগ করলে সে মোবাইলে বলেন, আমরা ওই ছাত্রীর সাথে সজিবকে অপৃত্তিকর অবস্থায় দেখার পর তাদের কে উদ্ধার করি এবং নিরাপদ ভাবে তাকে বাসায় পৌছায়ে দেই। আমরা ওই ছাত্রীর উপকার করলেও এখন উল্টো আমরাই আসামী হয়েছি। আমার তার সাথে কোন প্রকার অনৈতিক কাজ করার প্রশ্নই আসেনা। তাদেরকে অবৈধ কাজে বাধা দেওয়ায় ষড়যন্ত্র করে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে নুরনবী দালাল বলেন, মেয়ের পক্ষ বিয়ের জন্য চাপাচাপি করলেও মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় আমি তাদেরকে আইনের আশ্রয় নিতে বলি কিন্তু আমরা মেয়ের পক্ষ অবলম্বন না করায় তারা আমাদেরকে আসামী করে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। উল্লেখ্য, যে গত ৩ জুলাই মেয়ের মা সাহিদা খাতুন বাদী হয়ে সজিবকে প্রধান করে তার সাথে স্থানীয় আরো ৪ জনকে আসামী করে লালমোহন থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এদিকে শাওন ঐক্য পরিষদের সভপতি ও বর্তমান উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরনবী দালাল সহ চার জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় বিভিন্ন মহল নিন্দা জানিয়েছে।