চরফ্যাশন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হোসেনের বিরুদ্ধে কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ

চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. হোসেনের বিরুদ্ধে দূর্নীতি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার চরফ্যাশন প্রেস ক্লাবে মহিলা কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এসময় সহকারী অধ্যাপক মো. ফারুক তার বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, মহিলা কলেজে অনার্স কোর্সের চালুর জন্য ৮টি বিষয়ে মোট ৪০ জন প্রভাষক শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগ দেয়ার সিন্ধান্ত হয়। অধ্যক্ষ মো. হোসেন আবেদনকারীদের কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য আদায় করার অভিযোগ করেন। এতে শিক্ষককদের দাবী ৪০ জন শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রায় ২ কোটি টাকা বাণিজ্য করেন অধ্যক্ষ। উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র রয়েছে মহিলা কলেজ। এ কেন্দ্র পরিচালনার ক্ষেত্রে এইচএসসি ও ডিগ্রী পরীক্ষার আয় ব্যয় হিসাব মূল কলেজের সাথে যুক্ত করার সিন্ধান্ত ছিল। তা সংযুক্ত না করে অধ্যক্ষ নিজ ইচ্ছা মতে ২/৩ জন মতামতের ভিত্তিতে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে থাকেন। উম্মাুক্ত পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা আদায় করে আত্মসাত করেন। এ ছাড়াও অধ্যক্ষ ভূয়া টিউটর বানিয়ে নামে বেনামে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ উত্তোলন করেন।

কলেজে বছরে মোট ৮টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই সকল পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদ বিহীন তার ইচ্ছে মত বিধিভর্হিভূত টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে তার মুখের রাজনীতির হুমকী অশ্লীল ভাষয় গালমন্দ করে বেড়ায়। এতে তার ভয়ে ২০০৯ সাল থেকে এই যাবৎ কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। অভিযোগের পাহাড় হয়ে যাওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীরা কলেজের স্বার্থে দূর্নীতি ও অনিয়ম প্রতিরোধের জন্য এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

কলেজের গভানিং বডির সভাপতি সাবেক উপমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেয়ার নামেও লাখ লাখ টাকা ভূয়া ভাউচার দেখিয়ে হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই সময় কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

-এমএএইচ/এফএইচ