সোমবার ● ২৭ মে ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » সাবেক শিবির নেতা আবু জাফরের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কাহিনী: পর্ব ২
সাবেক শিবির নেতা আবু জাফরের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কাহিনী: পর্ব ২
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনের হাজির হাট টিএ দাখিল মাদ্রাসার বিতর্কিত সুপার সাবেক শিবির নেতা মাওঃ আবু জাফর মো.মাঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে জালজালিয়াতি, অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য, দালালি, পতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাৎ, ঘুষ গ্রহণ, নারী কেলেঙ্কারীসহ ব্যাপক অনিয়মও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় উপজেলার মাদ্রসার শিক্ষক মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, হাজির হাট টিএ দাখিল মাদ্রাসার বিতর্কিত সুপার সাবেক শিবির নেতা মাওঃ আবু জাফর মো. মাঈনুদ্দীন তার শিক্ষা জীবনে দাখিল ১৯৮৭, আলিম ১৯৮৯ ও ফাজিল ১৯৯১ সালের পরীক্ষায় তিনি তৃতীয় বিভাগ থাকলেও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া কাগজ পত্র বানিয়ে ১৯৯৬ সালে হাজির হাট টিএ দাখিল মাদ্রাসার সুপার হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যা বে-সরকারী শিক্ষানীতি (২০১৮ইং) উল্লেখ আছে শিক্ষা জীবনে একের অধিক তৃতীয় বিভাগ গ্রহণ যোগ্য না। সুচর্তুর এই সুপারের তিনটি সনদই তৃতীয় বিভাগ থাকালেও তিনি বিদ্রপে উপরস্ত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আরো জানা গেছে, মাও: আবু জাফর তার ছাত্র জীবনে ১৯৮৭ সাল থেকে টানা ২০০১ সাল পর্যন্ত ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে জড়িত ছিলেন। ২০০১ সালে শিবিরের সাথির থাকা অবস্থায় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন। এর পর নানা অনিয়ম ও দুর্নীতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন তিনি। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আওয়ামীলীগের কাঁধে উপর ভর করে চলতে থাকেন। বর্তমানে এই শিবির নেতা আবু জাফর লালমোহন উপজেলা আওয়ামী ওলামালীগের সহ সভাপতি পদ দখল করে একের পর এক অনিয়ম করেই চলছেন। বিভিন্ন সময় মাও: আবু জাফর মাদ্রাসা বোর্ডের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন আত্মীয় পরিচয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আলীগ নেতাদের নাম বাঙ্গিয়ে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়োগ, ২য় ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন মাদ্রাসার এমপিও ভুক্ত করার কথা বলে দালালি ও প্রতারাণা করে আসছেন। কেউ তার প্রতিবাদ করলে আবু জাফর তাকে বিভিন্ন ভাবে অপদস্ত ও হয়রানী করেন এমটাই অভিযোগ করেন কয়েকটি মাদ্রাসার শিক্ষকরা।
সাবেক শিবির নেতা মাওঃ আবু জাফর মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন গত ২০১৬ ইং সনের দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন লালমোহন ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার পরীক্ষার কেন্দ্রের হল সচিবের দায়িত্ব কালীন তার মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদে নকল দিয়ে সহযোগীতা ও অসধুপায় অবলম্বনের দায়ে ততকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামছুল আরিফ তাকে আজীবনের জন্য কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে বহিষ্কার করেন।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৬ ইং সালে ইউনিয়ান পরিষদ নির্বাচনে রমাগঞ্জের পূর্বচরউমেদ গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের পূর্বচরউমেদ ১ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা কালীন মোটা অংকের ঘুষ গ্রহণ করে প্রতিপক্ষকে নির্বাচিত করার দায়ে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মোঃ নোয়াব মিয়া আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন এবং তাকে ধাওয়া ও হেস্তা করেন।
এব্যাপারে হাজির হাট টিএ দাখিল মাদ্রাসার বিতর্কিত সুপার সাবেক শিবির নেতা মাওঃ আবু জাফর মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীনের সাথে তার ব্যহিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ব্যস্ত ও পরে ফোন করবেন বলে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেন। এর পর বার বার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। চলবে…
-এফএইচ