

বুধবার ● ২৫ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » দুলার হাটে মাদক ও ইভটিজিং প্রতিরোধ সভা
দুলার হাটে মাদক ও ইভটিজিং প্রতিরোধ সভা
দুলারহাট প্রতিনিধি: দুলার হাটে মাদক, ইভটিজিং মাদকাসক্তির প্রতিরোধ সচেতন মুলক ‘স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম’ অনুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার দুলার হাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, ওসি মিজানুর রহমান পাটওয়ারী ।
এসময় তিনি বলেন, আমাদের অধিকাংশ তরুণ তরুণি মাদকাসক্তি জীবনের জন্য মারাত্বক অভিশাপ জেনেও কৌতুহলবশে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। মাদকাসক্তির পেছনে যে কারণগুলো দায়ী তা হলো, পিতা-মাতার সন্তানের প্রতি উদাসিনতা, পরিবারে মাদকাসক্ত ব্যক্তির দ্বারা প্রভাবিত হওয়া, সঙ্গদোষ, প্রেমে ব্যর্থতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেকারত্বের কারণে মাদকাসক্ত হয়। ভয়াবহ এ মাদকাসক্তির হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে পারিবারিক পরিবেশে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে বজায় রেখে আদর্শচ্যুত হয়ে মাদকাসক্তির সুযোগ না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আপনার সন্তান অসৎ সঙ্গে বদ অভ্যাস অনুসরণ না করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধে সকলকে এগিয়ে আসার জন্য ও তিনি গুরুত্বারোপ প্রদান করেন।
তিনি বলেন , ১৮ আগে বিয়ে নয়, নারীদের হচ্ছে জয়। নারী নির্যাতনের মুল কারণ হচ্ছে অশিক্ষা। তাই নারীদের শিক্ষায় শিক্ষিত হলে নির্যাতনের শিকার হবে না। আজ রাস্তার মোড়ে গলির সামনে সুন্দরী মেয়েদের দেখলেই যুবসমাজ হৃদয় দুলে উঠে। সেই দুলে উঠা হৃদয়ে বখাটে ছেলে কর্তৃক কিশোরীকে ইভটিজিং। সরাসরি বা ইঙ্গীতে কোন কিশোরীর সঙ্গে যৌন আবেদন মূলক আচরণ করা শরীর স্পর্শ করা, পরিধানের কাপড় টেনে ধরা, যৌন ইঙ্গীতবাহী কোন কিছু উপস্থাপন করা, পর্নোগ্রাফি দেখানো এ সবই ইভটিজিং। এই টিজিং সমস্যায় অনেক মেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ঝরে পড়ছে তাদের ব্যক্তিসত্ত্বা হয়ে পড়ছে বিকৃত। যা দেশ জাতির জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত এসব উতক্তকারীদের চিহ্নিত করে দণ্ড বিধির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-০৩) এর ১০ ধারায় শাস্তি এবং অপরাধের প্রকৃতি ও পরিধি বিবেচনায় সর্বোচ্চ তিন বছর ও জরিমানার পরিমান ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই ইভটিজিং সামাজিক ভাবে বয়কট করতে সবাই কে আহবান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দুলার হাট থানার পুলিশ পরিদর্শক মো: নওশের আলী (তদন্ত), অভিভাবক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, এলাকার গণ্যমান্য, শিক্ষক-কর্মচারী ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী বৃন্দ।
-একেএমজি/এফএইচ