রবিবার ● ২৯ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে বিদ্যুতের নতুন লাইন সংযোগের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
চরফ্যাশনে বিদ্যুতের নতুন লাইন সংযোগের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: বিদ্যুৎ খাতটি আমাদের সমাজে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অন্ধকার থেকে আলোতে পরিনত করার জন্যে সরকারের বেশ ভূমিকা পালন করছে। এমনও ঘোষণা রয়েছে ২১ সালের মধ্যে কোন মানুষ অন্ধকারে থাকবেনা। তার পরেও এই খাতে প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা ঘুষ বাণিজ্য হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতের বেশ কিছু অবৈধ বাণিজ্যে মেতে উঠেছে অসাধু কর্মচারীরা। মাস্টার রোলে চাকুরিজীবিরাও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার দান্দায় লিপ্ত বলে অভিযোগ ভোক্তভোগীদের। তাদের জন্য অনেক সময় চরফ্যাশন (বেতুয়া) টু ঢাকার লঞ্চের ভিআইবি কেবিন বুকিং থাকে বলেও জনৈক কাউন্সিরল অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় গ্রাহকদের অভিযোগ, চরফ্যাশন পৌর এরিয়া ও আশপাশ বিদুতের জন্যে বিডিপির প্রায় ৭ হাজার গ্রাহক রয়েছে। সরকারি ভাবে নতুন লাইন সংযোগে রাজস্বখাতে ৩৫ শ টাকা জমা হলেও লাইন যোগে নেয়া হচ্ছে ৭/৮ হাজার টাকা। ৩৫ শ টাকার কোন প্রমাণপত্র গ্রাহককে দেয়া হয়না। অনেক সময় কাগজপত্র ঘাপলতি ও বিভিন্ন অজুহতে ১০/১২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। চলতি অক্টোবর মাসের ৪ তারিখে পৌর সভার ৫নং ওয়ার্ডের কামাল মিয়ার কন্যা জোছনা বেগমের নতুন লাইন সংযোগের জন্যে অফিসের নৈশ প্রহরী বাবুল(তাকে দিয়ে লাইনম্যানের কাজ করানো হয়) ৭ হাজার ৫০০ টাকা দাবী করে। জনৈক সচেতন ব্যক্তি তাকে কিছু টাকা কম নিতে বললেও তিনি তা শুনেনি। গ্রাহক জোছনা বেগম লাইন সংযোগের পর ৭হাজার টাকা দিলে তাকে ৫০০ টাকার জন্যে খালমন্দ করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন।
লাইনে কোন সমস্য দেখা বা সংযোগ বিছিন্ন হলে সংযোগ দেয়ার সময় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। বিদ্যুৎ বিলের মধ্যে একটি ঘর রয়েছে সার্ভিস চার্জের। তার মধ্যে সার্ভিস চার্জ নেয়া হয় প্রতিবিল থেকে তার পরেও জরুরী বিদ্যুতের জন্যে টাকা ছাড়া লাইন ম্যান বাবুল কোন কাজ করেননা বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রিয় পাঠক দুর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্য এই খাতে বেশী হলেও কেউ নজর রাখেনা বা প্রতিবাদ করেনা ফলে দিন দিন তাদের গ্রাহক হয়রানির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
চরফ্যাশন বিদ্যুৎ বিভাগের মধ্যে আবাসিক প্রকৌশলী(আরি) দিপক মিস্তিরী, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র রায়, মনিরুজ্জামান, লাইনম্যান বি আলমগীর হোসেন, ছিদ্দিকুর রহামান, নৈশ প্রহরী বাবুল। পিচ রেট জসিম উদ্দিন, ফিরোজুল ইসলাম সুমন, সুজন পাঠক, ভবতোষ চন্দ্র দাস, রেজাউল করিম। মাষ্টার রোলে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম ও হারুন অর রশিদ। তার মধ্যে অনেকের সোর্স রয়েছে। তার মধ্যে আল আমিন ও ইফসুফ । তারাও লাইন ম্যান ও পিচ রেটদের সাথে কাজ করেন। তাদের জন্যেও গ্রাহকের কাজ থেকে টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রিয় পাঠক! এই সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীগন বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। তাদেও মধ্যেযে সবই অবৈধ টাকা উপার্জন করেন তা ঠিক নয় ভালো রয়েছেন অনেকে। তার মধ্যে বেশ কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঠিক খতিয়ান আপনাদের সামনে আগামী পর্বে তুলে ধরার ইচ্ছা পোষন করছি।
-এমএএইচ/এফএইচ