দৌলখানে মেম্বারের বিরুদ্ধে গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার দৌলখানে সাবেক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবেশীর গাছ কেটে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে ওই জমিতে থাকা একটি বসত ঘর থেকে মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ করেন দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার নেতা মো. আবদুর রবের বিরুদ্ধে।

জমির মালিক মো. মহিউদ্দিন হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ওই ইউনিয়নের লেজপাতা গ্রামের মফিজ উদ্দিন হাওলাদার বাড়িতে তার বাবা মৃত আলাউদ্দিন ১৯৮২ সালে মাহবুব আলম চৌধুরীর কাছ থেকে ২৪ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। পরে ওই যায়গায় বসত ঘর নির্মান করে বসবাস করে আসছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের কোনো সম্পদ ভাগ হয়নি। ২০০১ সাল পর্যন্ত তারা ওই বাড়িতেই ছিলো। পরে তারা চাকুরী ও ব্যবসার সুবাদে সবাই বাড়ি থেকে কর্মস্থলে চলে যায় গিয়ে থাকে। এই সুযোগে ওই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুর রব তাদের ঘরে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এবং বিভিন্ন সময়ে তাদের গাছের নাড়িকেল ও সুপারী পেরে নিয়ে যেতো। সর্বশেষ গত শনিবার তাদের ঘরের পিছন থেকে তার জমি দাবি করে একটি মোটা গাছ কেটে নিয়ে যায় ও তাদের সীমানার মধ্যে জোরপূর্বক বেড়া দেয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ওই জমি আব্দুর রব তাদের কাছ থেকে কিনেছে বলে দাবি করেন। এ জন্য আব্দুর রব তাদেরকে দুই লক্ষ টাকা দিয়েছে বলেও দাবি করে, যা সম্পূর্ন মিথ্যা।

তার ছোট ভাই মো. জসিম বলেন, আব্দুর রব মেম্বার তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এতদিন আমাদের জমি ও ঘরের মালামাল লুটপাট করে খেয়েছে। তাকে কেউ বাঁধা দিলে সে আমাদেরকে জমি কেনার জন্য টাকা দিয়েছে বলে দাবি করে। এই জমি আমাদের বাবার ক্রয় সূত্রে আমরা দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছি। তার সাথে আমাদের জমি ক্রয়ের ব্যাপরে কোনো লেন-দেন হয়নি। এ ঘটনায় দৌলতখান থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান জসিম উদ্দিন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুর রব মেম্বার জানান, আমি মহিউদ্দিন গংদেরকে জমি কেনার জন্য দুই লক্ষ টাকা বায়না দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাকে জমির দলিল দেয়নি। তবে জমির বায়নার কোনো ডকুমেন্ট সে দেখাতে পারেনি আব্দুর রব।

দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত বলেন, এখনও কেউ এ ব্যাপারে মামলা করিনি। মামলা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

-ইএ/এফএইচ