বুধবার ● ১৮ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় হাতুরে ডাক্তারের অপ-চিকিৎসায় সর্বহারা বৃদ্ধ কৃষক,ন্যায় বিচারে তদন্ত টিম গঠন
ভোলায় হাতুরে ডাক্তারের অপ-চিকিৎসায় সর্বহারা বৃদ্ধ কৃষক,ন্যায় বিচারে তদন্ত টিম গঠন
বিশেষ প্রতিনিধি : ভোলায় হাতুরে ডাক্তারের অপ-চিকিৎসায় সর্বহারা ৭০ বছরের বৃদ্ধ কৃষক। ন্যায় বিচারের ভোলার সিভিল সার্জনের তদন্ত টিম গঠন। ঘটনাটি উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের চরপাতা গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডে ঘটেছে। এনিয়ে বৃদ্ধ যেমন অর্থনৈতিক ভাবে সর্বশান্ত, তেমনি শারীরীক ভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।
অভিযোগে জানাযায়, গত ৪ মাস পূর্বে বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম কোমরে ব্যাথার চিকিৎসার জন্য স্থানিয় পশ্চিম ইলাশা ইউনিয়নের হাওলাদার মার্কেট সংলগ্ন বান্দের পারের হাতুরে ডাক্তার আব্দুল কালামের কাছে গেলে, কালাম ব্যাথা উপশমের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা কন্ট্রক্ট করে। অবৈধ অনুমোদনহীন ইনজেক্শন বৃদ্ধের কোমরে পুশ করে। এভাবে প্রতিদিন সকাল বিকাল ইনজেকসন পুশ করা হয়। দের মাস পর বৃদ্ধের কমোরে ইনফেক্শন দেখা দিলে ডাক্তার কালাম ঘটনাটি উড়িয়ে দিয়ে বৃদ্ধের ক্ষত স্থানে এলার্জিও ভাইরাস হয়েছে জানিয়ে ওই স্থানে এলার্জিও ইনজেকশন পুশ করে। রাতের বৃদ্ধের কমোরে যন্ত্রনা শুরু হলে কালামকে ফোনে জানালে সে কোন গুরত্ব না দিলে বৃদ্ধ’র পরিবার হতাশ হয়ে পরেন। সারা রাঁত বৃদ্ধ নির্ঘুম কাটানোর পর সকালে কালামের চেম্বার গেলে কালাম বৃদ্ধের সাথে দুর্বব্যবহার করে হোমিও প্যাথ্কি চিকিৎসার পরামর্শ দেয়। কিছুদিন পর বৃদ্ধের অবস্থার অবনতি হলে বড় ছেলে মোঃ ফারুক ঢাকা থেকে ছুটে এসে ঘটনাটি ডাক্তার কালামকে বললে কালাম উত্তেজিত হয়ে ফারুককে ফার্মেসী থেকে বেড় করে দেয়। ফারুক বৃদ্ধ বাবাকে নিয়ে ভোলা সদর হাসপাতালের আর এম ও ডাক্তার শরীফুল ইসলামের কাছে গেলে ডাক্তার শরীফ রোগীর অবস্থা দেখে বৃদ্ধের কমোরে জরুরী অস্ত্রপাচার করেন। ডাক্তারের পরামর্শে বৃদ্ধ ঘটনাটি নিয়ে ভোলার সিভিল সার্জন সহ উদ্ধোতন কর্তৃক্ষের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করেন।
সুত্রমতে, এর আগেও ডাক্তার কালামের কাছে চিকিৎসা নিতে এসে স্থানিয় ইউসুপ নামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানা জানি হলে মোটা অংঙ্কের টাকা দিয়ে সেই সময় ঘটনাটি কালাম ধামা চাঁপা দিতে সক্ষম হয়।
স্থানিয়দের তথ্য অনুযায়ী ডাক্তার কালামের চিকিৎসায় এই পর্যন্ত ৪০-৫০ টি গরু ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি ঘটনাই কালাম পূর্বের মত ধামা চাপা দিতে সক্ষম হয়।
বিষয়টি নিয়ে ডাক্তার কালামের সাথে কথা হলে সে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে জানায়, ৬ মাস পর্যন্ত বৃদ্ধকে চিকিৎসা করছি। বয়সের ভারে শরীরে রোগ দেখা দিলে আমি কি করব। আমি সঠিক চিকিৎসা দিয়েছি। আপনারা বিষয়টি নিয়ে টানা টানি করিয়েন না। বেশ কিছু টাকা দিয়ে দেই নিয়ে যান। আমার কোন ক্ষতি করার ক্ষমতা বৃদ্ধ ও তার পরিবারের নেই। আমার ঔষধ কোম্পানীর লোকজন বলছে, বিষয়টি নিয়ে তারা আমারা কোন ক্ষতি হতে দিবেনা।
স্থানিয় চেয়ারম্যানের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, এই ঘটনাটি নিয়ে আমি একটি আভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা নিয়ে যাচাই বাছাই চলছে, আভিযোগ প্রমানিত হলে ডাক্তার কালামকে সর্বচ্ছ শাস্তির মুখো-মুখি হতে হবে। এবং তাকে আমার ইউনিয়নে আর এই ধরনের অপ চিকিৎসা করতে দেয়া হবেনা বলে হুশিয়ারী দেন।
ভোলার সিভিল সার্জন ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযুক্ত পল্লিচিকিৎসক কোন অবস্থাই এই ধরনের চিকিৎসা দিতে পারেনা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাটি তদন্তের জন্য একটি মেডিকেল টিম গঠন করেছি। তারা ৫ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিবেন। ঘটনা প্রমানিত হলে আসামীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যাস্থা গ্রহন করা হবে। কত সদস্যও তদন্ত টিম গঠন ও ওই টিমের সদস্যদের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তের সার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাবেনা। সময় হলে সব জানতে পারবেন।
সূত্র/এইচএমএন