শনিবার ● ১৪ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ভোলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ বছরের শিশুকে বলৎকারের অভিযোগ
ভোলায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ বছরের শিশুকে বলৎকারের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিনিধি : ভোলায় মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৯ বছরের এক শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শহরের কালীনাথ রায়ের বাজারের বায়তুল মুয়াজ্জাম ক্যাডেট মাদ্রাসায়। অভিযোগটি শিক্ষক মাওলানা মোঃ ছাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
শনিবার সকাল ৭ টার সময় ভিকটিমের পরিবার থেকে এই অভিযোগ করা হয়। সকাল সারে ৮ টার সময় মাদ্রসায় উত্তেজিত জনতা হামলা চালিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে গনধোলাই দিলে, টহলরত পুলিশের মোবাইল টিম এসে মাওলানা ছাইফুল ইসলামকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত শিক্ষক ভোলার মহাজন পট্রি ও শীশ মহলের নিছে হোটেল ব্যবসায়ী কামালের ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে ভিকটিমের সাথে এই প্রতিবেদক আলাপ করলে বলে, হুজুর ভাল ভাল কথা বলে আমাকে নেংটা করে ৫ বার খারাপ কাজ করেছেন। ভিকটিমের বাবা অভিযোগ করে বলেন, কত স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে মাদ্রাসায় পড়ানোর জন্য পাঠিয়ে আমরা বুকে পাথর চাপা দিয়ে আছি। শুধু এই আসায় যে আমার ছেলে একদিন মানুষের মত মানুষ হয়ে আমাদের মুখ উজ্জল করবে। আজ যেটা আমার সন্তানের সাথে হয়েছে তা সহ্য করার ক্ষমতা আল্লাহ যনে আমাকে দেন এবং মাওলানা ছাইফুল ইসলাম কে এমন শাস্তি দেয়া হউক যাহাতে এই ধরনের কুলাঙ্গারের জন্য কোন প্রতিষ্ঠানের বা কোন ধর্মের ক্ষতি না হয়।
বিষয়টি নিয়ে আরও কয়েকজন ছাত্রের অভিবাকদের সাথে আলাপ করলে তারাও এই ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, এই পর্যন্ত এই মাদ্রাসায় আরও তিন শিক্ষককে একই ঘটনার জন্য চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে, মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা তাজুদ্দিন এক শিক্ষককে পিটিয়ে তার মোবাইল ফোন ভেঙ্গে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলে ঘটনার সত্যা শিকার করেন মাওলানা তাজুদ্দিন। শুধু তাই নয়, এই বিষয় নিয়ে মাওলানা তাজুদ্দিনের বিরুদ্ধেও একাধিক ঘটনার প্রমান মেলে। শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে মাওলানা তাজুদ্দিনকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।
এই বিষয় নিয়ে মাদ্রসার প্রধান মাওলানা তাজুদ্দিন বলেন, মাওলানা ছাইফুল ইসলাম যা করেছে তার শাস্তি ফাঁিস হলেও আমার কোন আপত্তি নেই, শুধু আমার মাদ্রাসার যাহাতে কোন বদনাম বা মিডিয়ায় প্রকাশ না হয় এই দিকে আপনারা একটু নজর দিয়েনে।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর খায়রুল কবিরের সাথে আলাপ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, ভিকটিমের পরিবার যদি আসামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে না চায় তা হলে আমাদের কি করার আছে। স্থানিয় ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিমাংশা করে দিবেন বলে আসামীকে থানায় মুছ লেখা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন।
সুত্র/এইচএমএন