বুধবার ● ২৩ আগস্ট ২০১৭
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » লালমোহন থানার ওসি হুমায়নের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
লালমোহন থানার ওসি হুমায়নের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
লালমোহন প্রতিনিধি: লালমোহন থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে হয়রানী করার কারণে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। বুধবার লালমোহন প্রেসক্লাবে সকাল ১০ টায় সংবাদ সম্মেলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধ মোঃ শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া ও বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া।
এসময় তারা লিখিত অভিযোগ পাঠ করে বলেন, গত ২১ শে আগস্ট সোমবার রাত ১১ টার দিকে আমাদের এলাকায় লালমোহন থানার ওসির নেতৃত্বে ২৫/৩০ টি হোন্ডা ও একটি মাইক্রোবাস সহ ভয়ংকর ভাবে শব্দ করে তারা তান্ডব সৃষ্টি করে। পরে তারা আমাদের বাড়ীর ভিতরে অতর্কিতভাবে প্রবেশ করে এবং পাশর্^বর্তী বাড়ীতে প্রবেশ করে শাহীদা বেগম, নাজমা বেগম, শাহিনূর বেগম নামের ৩ জন মহিলা ও মিরাজ নামের ১ জন পুরুষকে আটক করে। আটকৃত শাহীদা বেগমের সাথে সে সময় ৪ মাসের একটি শিশু ছিলো। মহিলাদেরকে ঘর থেকে বাহির করে জোরপূর্বক ইয়াবার একটি প্যাকেট দিয়ে তাদের সেখানে ছবি তুলে থানায় নিয়ে আসে ওসি হুমায়ুনের র্ফোস। পরে তাদের থানায় নিয়ে এসে ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে প্রকাশ করে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের কাছে। আমি মনে করি ওসি হুমায়ুন আমাকে ও আমার বংশের বিভিন্ন লোক ও অনুসারীদের দমনের মাধ্যমে দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যবাহী বংশের উপর কলঙ্ক লেপনের অপচেষ্টায় ওসি ব্যস্ত রয়েছেন।
ইতিপূর্বে আমার এলাকা থেকে আমার দু’জন লোককে ধরে থানায় এনে ১০ পিস করে ইয়াবা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে। পরিকল্পীতভাবে ধরার সময় স্থানীয় কোন স্বাক্ষী প্রমাণের প্রয়োজন পড়ে না তার। লোকজনদের থানায় নিয়ে ওসির ইচ্ছামত স্বাক্ষী দেখিয়ে চালান দেওয়া হয়।
এসময় তারা আরো অভিযোগ করে বলেন, ওসি লালমোহনের নানা রকম অবৈধ ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। প্রতিদিন গভীর রাতে একটি প্রাইভেটকারে একা একা লর্ডহার্ডিঞ্জের দক্ষিণে নদীর পারে ঘুরাফেরা করে। যতদুর জানা যায়, নদীর ওপাড় থেকে শত শত চোরাই গরু ছাগলের ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চাঁদা উত্তোলনের জন্য তার এই যাতায়াত।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে যে ৩ জন মহিলাকে ধরে এনে চালান দেওয়ার ব্যবস্থা করে ছিলো, পরবর্তীতে ঘটনা বেগতিক দেখে পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময় তাদেরকে ছেড়ে দেয়। আমরা উক্ত ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এব্যাপারে লালমোহন থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি হুমায়ন কবীরের সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, গত দুইদিন ধরে তিনি অসুস্থ কোথাও বের হয়নি বলে বিয়ষটি এড়িয়ে যান।
এসকে/এফএইচ