শুক্রবার ● ১৪ জুলাই ২০১৭
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » লালমোহনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অর্থ বাণিজ্য
লালমোহনে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অর্থ বাণিজ্য
বিশেষ প্রতিনিধি: ভোলার লালমোহনে এক কলেজ ছাত্রী (১৯) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে অর্থ বাণিজ্যর মাধ্যেমে ধর্ষককে ছেড়ে দিয়েছে। গত মঙ্গলবার ১১ জুলাই রাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা ভিক্টিমকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ওই ভিক্টিম লালমোহন মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী এবং ওমান প্রবাসীর মেয়ে।
ভিক্টিম কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করেন, প্রায় ৬ মাস ধরে একই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মাদ্রসাবাজার এলাকার মোস্তাফার ছেলে মামুন (২৪) তাকে কলেজে আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন ভাবে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। গত মঙ্গলবার তার মা নাছিমা বেগম বাড়িতে না থাকায় নয় বছরের ছোট বোনকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে পরেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওৎ পেতে থাকা মামুন তার ঘরে ডুকে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করেন কলেজ ছাত্রী। এসময় তার ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে মামুনকে আটক করেন। পরের দিনে সকলে লালমোহন থানার এএসআই সাওখাত সহ সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে ছেলে মেয়েকে থানায় নিয়ে আসেন।
ভিক্টিম আরো অভিযোগ করেন, তাদের থানায় এনে ওসির বরাত দিয়ে এএসএই সাওখাত বিয়ে সম্পন্ন করার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় মামুনের পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ধর্ষণকে ধামা চাপা দিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট হাজির করেন তাদেরকে। পরে ইভটিজিং এর অভিযোগ এনে তার জবান বন্দি না নিয়ে মামুনের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন পুলিশ।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মামুনের ব্যবহীত মোবাইল ফোনে বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা কালে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা না বলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর বলেন, থানায় ভিক্টিম আসেনি। কোন অভিযোগও করেনি। নির্বাহী অফিসার মোবাইল কোর্ট করেছেন। আমরা শুধু নির্বাহী অফিসারকে সহযোগীতা করেছি বলে ফোনের লাইন কেটে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামছুল আরিফ বলেন, পুলিশ ছেলে মেয়েকে এনে আমার কাছে হাজির করেন। প্রথমে ইভটিজিং বলায় ছেলের কাছ থেকে মুচলেকা রাখা হয়েছে। পরে ভিক্টিম ধর্ষণের অভিযোগ করলে এটা মোবাইল কোটের আওতায় নেই বলে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এআরটি/এফএইচ