সোমবার ● ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১০ জেলে
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ১০ জেলে
বিশেষ প্রতিনিধি • দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ৪টি মাছধরা ট্রলার ডুবে গেছে। এসব ট্রলারের ৫৮ জন জেলের মধ্যে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। চরফ্যাশনের বকসী, শুকনাখালী এবং ঢালচর ঘাট সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। শনিবার রাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত এসব ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটে। শুকনাখালী ঘাটের ট্রলার মালিক হেলাল উদ্দিন জানান, চরফ্যাশনের শুকনাখালী ঘাটের শাহাবুদ্দিন মাঝির মাছধরা ট্রলার রোববার ভোর ৪টায় ঝড়ের কবলে পরে সাগরের ৫/৬ বাম এলাকায় ডুবে গেছে। এ ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিনসহ ১১ জনকে আপর একটি মাছ ধরা ট্রলার উদ্ধার করে রোববার বিকেলে পটুয়াখালীর মহিপুর ঘাটে নিয়ে গেছে। ট্রলারের অপর ৯ জন জেলের ভাগ্যে কী ঘটেছে বলে কেউ জানেন না।
হাতিয়ার জাহাজমারা ঘাটের আক্রাম মাঝির ট্রলার (রুনা আক্তার-১) ১৬ জন জেলেসহ শনিবার সন্ধ্যায় গভীর সাগরে ডুবে গেছে। রাত ১২ টায় ওই ট্রলারের মাঝি আকরামসহ ৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে চরফ্যাশনের বকসী ঘাটের জান্টু মাঝির ট্রলার। রোববার বিকেলে জান্টু মাঝির ট্রলার উদ্ধারকৃত ৮ জেলেকে নিয়ে বকসীঘাটে পৌঁছে। বকসীঘাটের আড়ৎমালিক ইসমাইল মেম্বার জানান, বকসীঘাটের ব্যবস্থাপনায় আকরাম মাঝিসহ উদ্ধারকৃতরা হাতিয়ায় নিজনিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেছেন। তবে নিখোঁজ ৮ জনের কোন খবর নেই। উদ্ধারকৃত এবং নিখোঁজ সকলের বাড়ি হাতিয়ার জাহাজমারা গ্রামে বলে ইসমাইল মেম্বার জানান। ঢালচরের হাওলাদার ঘাটের আবুল কালাম মাঝির ট্রলার ৬ জেলেসহ গতকাল দুপুর ১২টায় মেঘনা নদীতে ডুবেছে। জেলেদের সহায়তায় বিকেলে ডুবে যাওয়া ট্রলারের সব জেলেকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে ঘাটমালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম হাওলাদার জানিয়েছেন।
অপরদিকে, ঢালচরের চেয়ারম্যান ঘাটের আব্দুল আলী মাঝির ট্রলার শনিবার মধ্যরাতে সাগরে ডুবে গেছে। ট্রলার মাঝি আব্দুল আলীসহ ২ জনকে উদ্ধার করে অপর একটি ট্রলার বিকেলে পটুয়াখালীর মহিপুর ঘাটে পৌঁছালেও এ ট্রলারের অপর ১৪ জন জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে বলে ঢালচরের চেয়ারম্যান আবুল কালাম পাটওয়ারী জানিয়েছেন।