বৃহস্পতিবার ● ১৯ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » ৩শ’ কিলো পথের ভাড়া ২০ টাকা!
৩শ’ কিলো পথের ভাড়া ২০ টাকা!
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন বেতুয়া লঞ্চ ঘাট থেকে ঢাকা সদর ঘাট পর্যন্ত ৩শ’ কিলোমিটার নৌ-পথের ভাড়া মাত্র ২০টাকা নেয়া হচ্ছে। অনেক যাত্রী বলে বেড়াচেছ চরফ্যাশনে শায়েস্তা খানের আমলের ছোঁয়া লেগেছে। ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর ঘুষের হাট, লালমোহনের নাজিরপুরসহ পশ্চিমাঞ্চলের লঞ্চঘাট গুলো মরে যেতে শুরু করেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ৩টি লঞ্চের স্টাফদের ঢাক চিৎকার। ২০টাকা ২০টাকা, ২০টাকা করে ঘাট টিকেট করে লঞ্চে উঠানো হচ্ছে। বর্তমানে চরফ্যাশনের যাত্রীরা নিত্য প্রয়োজনীয় বাজার বা ঘুরার জন্য রাজধানীতে যাতায়াত করতে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। যাত্রীদের সংখ্যাও বেড়ে গেছে। এমনকি বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বিশেষ ছাড় বা সুবিধাও দিচ্ছে। যে চরফ্যাশন থেকে ঢাকা যাতায়াতের জন্য তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদ জিয়ার চরফ্যাশন টিবি স্কুল মাঠে সমাবেশের সময় ব্যবসায়ীদের ব্যানারে দাবীর মুখে লঞ্চদেয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও কোকো লঞ্চের ব্যবসার ক্ষতি হবে মর্মে লঞ্চ দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি। সেই বেতুয়া ঘাটসহ ঘোষের হাটে উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি হয়ে লঞ্চের ব্যবস্থা করছে। পর পর একই ঘাট থেকে ৩টি লঞ্চের ব্যবস্থা করেছে।
স্থানীয় আসলামপুর আওয়ামীলীগ সভাপতি নুরে আলম মাস্টার বলেন, আমাদের উপমন্ত্রী শুধু পুল কালভাট ব্রীজ, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেনি জনকল্যাণে যাত্রীদের সেবা দিতে রাজধানীতে পৌছতে লঞ্চ দিয়ে এ সুযোগ করে দিয়েছে। একাধিক লঞ্চের প্রতিযোগিতা এখন যাত্রীরা এই সুবিধা পাচ্ছে।
এম.ভি ফারহান-৫ লঞ্চের ম্যানেজার জাহিদ বলেন, একেই ঘাটে (বেতুয়া) থেকে ৩টি লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে ঢাকায়। আমরা ডেকের ভাড়া পূর্বে নিতাম ৩০০ টাকা। কেবিন ডাবল ২০০০ হাজার, সিংগেল ১০০০ হাজার টাকা। এ ঘাটে এম.ভি তাসরিফ ৩/৪ এসে ভাড়া বেতুয়া থেকে ডেকে ডেকে নিচ্ছে ১০০ টাকা, ঢাকা ঘাট থেকে নিচ্ছে ১৫০ টাকা আমরা ও নিতে বাধ্য হচ্ছি। এখন আবার এমভি কর্ণফুলি ১২/১৩ এসে ভাড়া নিচ্ছে ২০ টাকা, আমরাও ২০ টাকা ভাড়া নিচ্ছি। তারা যদি যাত্রী ফ্রি নেয়, আমরা ফ্রি নিবো।
লঞ্চ যাত্রী আব্বাস উদ্দিন বলেন, ভাই ঢাকা যাচ্ছি দু’টি শার্ট কিনবো। ওইদিনেই আবার লঞ্চে চড়বো। আসা যাওয়া মাত্র ৪০ টাকা লাগবে। আমাদের আসলামপুর থেকে চরফ্যাশন রিক্সা ভাড়া লাগে ৫০টাকা আর ঢাকা যেতে লাগবে ২০টাকা করে ৪০ টাকা তাই ঢাকাই যাচ্ছি। এই সুযোগ যদি আমরা কাজে লাগতে না পারি তাহলে আমাদের কপালেই খারাপ।
এমভি ফারহান-৫ লঞ্চের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বলেন, বেতুয়া থেকে ঢাকায় ২শ ৭৪ কিলোমিটার। সরকারি হিসাবে ভাড়া আসে ৩শ ৭৪টাকা। লঞ্চ প্রতিযোগীতার জন্য ভাড়া নেয়া হ্েচছ ২০ টাকা। কেবিন সিংগেল ৮শ’ ও ডাবল ১৬শ’টাকা নেয়া হচ্ছে।
উপজেলার আহম্মদপুরের ফরিদাবাদ গ্রামের আকবর হোসেন বলেন, ঘোষের হাট দিয়ে ভাড়া বেশী হওয়ায় আমরা ২০ টাকায় টিকেট কেটে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চে ঢাকায় যাচ্ছি।
যাত্রী ফখরুল ইসলাম জানান, ফারহান-৫ ও ৬ লঞ্চ ঢাকায় ও বেতুয়া ঘাটে সব লঞ্চের আগে পৌছেঁ। এই জন্যই আমরা কাজ করতে সুবিধা পাই। ইতিপূর্বে তাসফির লঞ্চ নদীতে আটকিয়ে যাওয়ায় ১টায় ঘাটে পৌঁেছছে এতে আমাদের কাজ কর্মের বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে।
-এফএইচ