সোমবার ● ২০ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে ১২৯ পদ-পদবী শূণ্য থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম
চরফ্যাশনে ১২৯ পদ-পদবী শূণ্য থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা অফিসার,সহকারী শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ মিলিয়ে ১২৯ পদ শূণ্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। শুধু একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার দিয়ে পুরো উপজেলা তদারকী করার সম্ভাব নয় বলে অফিস সূত্র জানা গেছে।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাশন মোট ২১২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। শিক্ষক রয়েছে প্রায় ১১ শ। শূণ্য রয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদ, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ৫জন, অফিস সহকারী ১জন, উচ্চমান সহকারী ১জন, অফিস সহয়াক ১জন , প্রধান শিক্ষকের পদ ৪৫টি, সহকারী শিক্ষকের পদ ৭৫ টিসহ মোট ১২৯টি পদ শূণ্য রয়েছে। উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ রয়েছে ৩টি নজরুল নগর, ঢালচর ও চরকুকরী-মুকরী ইউনিয়ন। দু’জন সহারকী শিক্ষা অফিসার থাকলেও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার পদ শূণ্য হওয়া ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে একজনকে।
বিশাল জনবহুল এলাকায় মাত্র একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার দিয়ে মনিটরিং (তদারকী) করা সম্ভাব নয় বলে সহকারী শিক্ষা অফিসার খালিদ হোসেন জানিয়েছেন। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩/৪ জন শিক্ষক রয়েছেন। তার মধ্যে কোন প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক, কোন প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষকের পদ শূণ্য। ফলে ২/৩জন শিক্ষক দিয়ে শিশু শ্রেণি থেকে ৬টি ক্লাস পরিচালনা করা কষ্টকর বলে একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন। অনেক সময় প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের কাজে চরফ্যাশন শিক্ষা অফিসে থাকলে বিদ্যালয় শূণ্য হয়ে যায়। ওই বিদ্যালয়ে শিক্ষার কোন মান উন্নয়ন করা সম্ভাব হয়না। কোমলমতি শিশুরা শিক্ষকের অভাবে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
সদ্য সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি নিয়মে সোয়া ৪টার পূর্বেই ছুটি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে জটলা রয়েছে শিক্ষক পিটিআই ও ডেপোটেশন নিয়ে। এমনও প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩জন শিক্ষকের মধ্যে একজনকে প্রশিক্ষনের জন্যে পিটিআইতে পাঠানো হয়। আমার অনেক সময় ডেপোটিশনের কবলে পরতে হয়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে মাতৃত্র কালিন ৬মাস ছুটি দিতে হয়। এক সময় পুল শিক্ষক দিয়ে তার পুরণ করা হলেও পুল শিক্ষকও আদালতে মামলা করে সরকারি গ্রেজেট ভূক্তের আওতায় এসেছে। টগতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মধ্যে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং বানিজ্য হচ্ছে। বিদ্যুৎ না থাকলে জেনারেটর দিয়ে শিক্ষার্থীকে কোচিং করি অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এব্যপারে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ৭ জন সহকারী শিক্ষা অফিসারের পদ রয়েছে তার মধ্যে দু’জ আছি। আবার আমাকে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালণ করতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলিয়ে ১২০ জন শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। এই সকল শিক্ষক সরকার নিয়োগ প্রদান করলে শিক্ষা ব্যবস্থা আরো উন্নয়ণ করার সম্ভাব হত।
-এফএইচ