বৃহস্পতিবার ● ২৬ অক্টোবর ২০১৭
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে দেড়শ হোমিওপ্যাথিক দোকানের মধ্যে ৯ টির লাইসেন্স রয়েছে, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
চরফ্যাশনে দেড়শ হোমিওপ্যাথিক দোকানের মধ্যে ৯ টির লাইসেন্স রয়েছে, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলায় হোমিওপ্যাথিক দোকান রয়েছে প্রায় ১৫০টি। তার মধ্যে মাত্র ৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স রয়েছে। এই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্স না করায় সরকার প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। ড্রাগ সুপার দাবী করেছেন আমি তাদেরকে বার বার বলা হলেও তার কর্ণপাত করছেনা। এই সকল ঔষুধ দোকানের মধ্যে মাত্র ১১টি আবেদন করেছেন। বাকী দোকান গুলো নিজ ইচ্ছা মত পরিচালিত হয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে।
ভোলা ড্রাগ অফিস সূত্রে জানা যায়, লাইসেন্স রয়েছে রৌশন হোমিও হল, মেডিকো হোমিও ফার্মেসী, সেন হোমিও, মাহবুব হোমিও হল, আশা হোমিও হল, আদর্শ হোমিও হল-১, আদর্শ হোমিও হল-২, আমানত হোমিও হল ও বাইজিত হোমিও হল। এই সকল হোমিও হল গুলো সরকারকে রাজস্ব দিয়ে বিধিমোতাবেক পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্তু ভেঙ্গের ছাতার মত লাইসেন্স বিহীন ও ডিপ্লোমা হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন সার্জারী (ডি.এইচ.এম.এস) ৪ বছর মেয়াদী এই প্রশিক্ষণ কোর্সও অনেকের নেই। কোর্স করা থাকলেও অনেক হোমিও সিকিৎসকগন অশিক্ষিত (সহকারী) দিয়ে গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
হোমিও চিকিৎসায় বিষজ্ঞ ও অভিজ্ঞতার কোন স্থান না থাকলেও মেডিকো হোমিও ফার্মেসীর প্রোপাইটর ডা. মো. মাহাবুবুর রহামন (মাজেদ) ক্রনিক রোগীর চিকিৎসায় অভিজ্ঞ সাইনবোর্ড/বিলবোর্ড ঝুলিয়ে দেদারছে ব্যবসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। কোন রোগের বা কি রোগের বিষজ্ঞ না লিখে বুঝাতে চাচ্ছেন যে সকল রোগীর চিকিৎসাই তিনি অভিজ্ঞ। এই ভাবে অভিজ্ঞ লাগিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৪সালে স্থাপিত হলেও তার হোমিও ফার্মেসীর লাইসেন্স পেয়েছেন ১৮জুন/১৭ তারিখে। ৪ বছর থেকে অবৈধভাবে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছিল। তার দোকানে শশীভূষন এলাকার রাশেদ নামে এক দাখিল পাশ অনভিজ্ঞ কম বয়সি ছেলে দিয়ে দোকান করাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। রাশেদ বলেন, কেউ ঔষাধের জন্যে আসলে আমি ফোন দিয়ে রোগীকে ঔষুধ দিয়ে থাকি। প্রশিক্ষণ বিহীন অনেক হোমিও ফার্মেসীতে অনভিজ্ঞ লোক দিয়ে চালাচ্ছে তাদের প্রতিষ্ঠান।
ভোলার ড্রাগ সুপার এস এম সুলতানুল আরেফিন বলেন, লাইসেন্স করতে হলে ২ হাজার টাকা সরকারের চালান জমা দিতে হয়। এতে চরফ্যাশন হাজার হাজার টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত রয়েছে সরকার। তিনি আরো বলেন, আমি চাই এই চিকিৎসায় স্বচ্ছতা ফিরে আসুক। প্রত্যেকে বৈধভাবে ব্যবসায় ও ডাক্তারী কার্যক্রম পরিচালিত হোক এইটাই আমার দাবী। চরফ্যাশন হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক সমিতি রয়েছে। তার মধ্যে পদ পদবীতে থেকে অনেকেই লাইসেন্স ও প্রশিক্ষণ কিছুই নেই, তার পরেও হোমিও ঔষাধের দোকান দিয়ে বসে আছেন।
-এফএইচ