চরফ্যাশন পৌর মেয়রের বেতন গরীবের কল্যাণে ব্যয়

এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন:  ভোলার চরফ্যাশন প্রথম শ্রেণীর পৌর সভার  মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথের মাসিক বেতন ভাতা গরীব ও অসহায় মানুষের কল্যাণের ব্যয় করছেন বলে পৌর সভা সূত্রে জানা গেছে।
চলতি বছরের ৮ মার্চ পৌর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর মাসিক ২০ হাজার টাকা হারে সম্মানী পান তিনি। দীর্ঘ ৯ মাসে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা স্বামী পরিত্যক্তা, বিধোবা, গরীব মেয়েদের বিয়ে, ঝড়েপড়া শিশুদের স্কুলে ভর্তি,  লেখাপড়ায় ও অস্বচ্ছল মানুষের চিকিৎসায় বেতন ভাতার সম্মানীর অর্থ তিনি ব্যয় করছেন অসহায় গরীব মানুষের মাঝে।
প্রায় শতাধিক পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন ভাতা পরিশোধে পৌর আয় বাড়াতে কর ও লাইসেন্স ফি আদায়ে রাস্তার পাশ্বে দৃশ্যমান (ভ্র্যম্যমান) ক্যাম্প বসিয়ে পৌর তহবিল বৃদ্ধি নতুন মাত্রা যোগ হয়ে প্রাণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন পৌর মেয়র। এছাড়া ধনী গরীব জাত, ধর্ম নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে তার বিচার সালিশ স্বচ্ছতার দৃষ্টান্ত অনুকরণীয়। টাকার বিনিময়ে কেউ বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাব বিস্তার করাতে পারেনি।
পৌর মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ জানান, দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে আমার সমুদয় বেতন ভাতা গরীব ও অসহায় মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছি। মানব সেবা ও মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ কওে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও অসহায় মানুষের চাহিদা মেঠাতে পৌরসভায় একটি দরিদ্র তহবিল হতে চেকের মাধ্যমে গরীব মানুষের জন্যে প্রতিদিন আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। যারা আমাকে এই সম্মানের আসনে বসিয়েছেন আমি তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, ২৬ বছর ধরে ঠিকাধারী করে আসছি। এটাই আমার আয়ের উৎস। আমি পৌরসভার সরকারী কোন অনুষ্ঠান থাকলে যাতায়াতসহ বিভিন্ন খরচ নিজ আয় থেকে বহন করি। পৌর সভার তহবিল থেকে কোন খরচ কর্তন করি না। যত দিন মেয়র পদে দায়িত্বে থাকবো সরকার কতৃক নির্ধারিত বেতন ভাতা এবং ব্যক্তিগত আয় থেকেও সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মেয়র বাদল বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ।
পৌর ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আক্তারুল আলম সামু জানান, নীতিগত ভাবে তিনি অটল থেকে পৌরবাসীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এত বিশাল পরিধির কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বেতন ভাতা প্রদানেও অনেক সময় হিমশীম খেতে হচ্ছে। উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপির একান্ত হস্তক্ষেপে পৌর সভায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। আরো বরাদ্দের জন্যে অপেক্ষমান রয়েছে। পৌরবাসীর কোন সমস্যা থাকবেনা বলে আমরা মনে করি।

-এফএইচ