চরফ্যাশনে ১০ টাকার চাল বিতরণে ডিলারদের কম দেওয়ার অভিযোগ

চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশনের ওচমানগঞ্জ ও আছলামপুর ৭নং ওয়ার্ডের ডিলারের বিরুদ্ধে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উছেছে। চাল বিতরণে ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৫/২৬ কেজি কওে দেওয়া হয় ক্রয়কৃত দরিদ্র মানুষকে। এই নিয়ে ক্ষোভের কোন শেষ নেই। ডিলাররা প্রভাবশালী হওয়া কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে ওচমানগঞ্জ ও আছলামপুর গিয়ে এমন তথ্য ফুটে উঠেছে। ওচমানগঞ্জ ৩জন ডিলার ফয়েজ, মামুন মহরী ও তাহের চাল বিতরণ করছে। তারা দিচ্ছে ২৫/২৬ কেজি করে। চাল কমের বিষয়টির প্রতিবাদ করলে তাদেরকে দেয়া হচ্ছে নানান হুমকী-ধমকী। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলতে রাজি হচ্ছে। সাংবাদিকদের দেখে বেশ কিছুক্ষণ ৩০ কেজি করে চাল দিয়ে আসলে চলে আসার পর আবারো ২৬ কেজি করে চাল দিচ্ছে মামুন মহরী। একই চিত্র মতলব মিয়ার হাট বাজারেও।

এদিকে ইউনিয়নের আবুগঞ্জ বাজারে গেলে রুহুল আমিন ও হাছনা হেনা, হান্নান, নুরনবী, সাজাহান, হাবিবসহ স্থানীয় মানুষ আছলামপুর ইউপি সদস্য মো.নুরনবীর সামনে সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন, ৭নং ওয়ার্ডের আবদুল খালেকের পুত্র ইউনুছ সিকদার প্রবাসে থাকলেও তালিকায় ১৩৭৬ নং সিরিয়ালে তার নাম অর্ন্তভুক্ত করে ঐ চাল আত্মসাত করা হচ্ছে। মেম্বারের নিজ বাড়ির ২১ জনের নাম এই তালিকায় স্থান পেয়েছে কিন্তু আমরা দিনমজুর হলেও মেম্বার আমাদেরকে ১০ টাকা কেজি দরে চালের কার্ড দেয়নি। তিনি কার্ড দিয়েছেন তার স্বজন ও পছন্দের লোকজনকে।

আসলামপুর ইউপি সদস্য মো.নুরনবী জানান, অধিকাংশ পরিবারেই ২/১টি করে কার্ড দেয়া হয়েছে। তার পরও অভিযোগ করলে কিছু বলার নেই।

আসলামপুর ইউপি সদস্য মো. নুরনবীর বিরুদ্ধে সরকারের ১০ টাকায় কেজির চালের তালিকা তৈরীতে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রবাসে থাকা জনৈক ইউনুছ সিকদার এবং নিজ বাড়ির ২১ জনকে তালিকাভূক্ত করেছেন এ মেম্বার। কিন্ত হতদরিদ্ররা স্থান পাননিও ওই মেম্বারের তৈরী করা তালিকায়। হতদরিদ্রের তালিকা তৈরীতে এই অনিয়ম নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। 

এমএএইচ /এফএইচ