মঙ্গলবার ● ১৮ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে রেঞ্জারের নার্সারীর জমিতে মালির ব্যক্তিগত বাগান
চরফ্যাশনে রেঞ্জারের নার্সারীর জমিতে মালির ব্যক্তিগত বাগান
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন বন বিভাগের রেঞ্জার ও মালির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নার্সারীর জন্য নির্ধারিত সরকারি জায়গায় অফিসের মালি শাহে আলম রেঞ্জারের যোগসাজশে বিভিন্ন প্রজাতির ১০ হাজার চারা বাগান করেছে। প্রতি বছর চারা বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, অফিসের বন বিভাগের মালি শাহে আলম ব্যক্তির উদ্যোগে বনবিভাগের রেঞ্জার আওলাদ হোসেন পালোয়ানের যোগ সাজশে নিজে ১০ হাজার এবং তার ছেলে শাহাবুদ্দিন বিভিন্ন প্রজাতির ৫০ হাজার বৃক্ষের চারার বাগান করে।
শাহে আলম বলেন, আমি রেঞ্জার স্যারের সহযোগীতায় সরকারি জায়গায় আকাশ মনি ৫ হাজার, মেহগনি, রেন্ট্রি ও ইপিল ইপিল ৫ হাজারসহ মোট ১০ হাজার চারা রোপন করি।
এ সকল চারা গুলো ৫টাকা মূল্যে বিক্রির কথা স্বীকার করলেও স্থানীয়দের অভিযোগ ওই চারা গুলো বিক্রি করা হয় ১৫/২০টাকা দরে। এতে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা সরকারি জমিতে চারা লাগিয়ে নিয়ম বর্হিভূতভাবে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। চারা বিক্রির বেশ কিছু অংশের টাকা চলে যাচ্ছে রেঞ্জার আওলাদ হোসেনের পকেটে। এমন অভিযোগও রয়েছে স্থানীয় একাধিক সূত্রের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তার যদি কোন স্বার্থ না থাকে স্টাফ মালি শাহে আলম ও তার ছেলে শাহাবুদ্দিনকে সরকরি জায়গায় বৃক্ষের বীজ বপন করে চারা লালন-পালনের অনুমোতি প্রদান করবেন। এই অনিয়মের বিষয় গুলো প্রতিবছর চলে আসলেও উর্ধোতন কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যথা নাই। তারা আসেন আর পরিদর্শন করে চলে যান অয়িমন গুলো কারো নজরে আসেনা।
অফিস সূত্রে জানা গেছে নার্সারীর জন্যে ৩ বছর পর্যন্ত কোন বরাদ্দ/বাজেট নেই। যার ফলে স্থানীয় মালি শাহে আলমের ব্যক্তি উদ্যোগেই গড়ে উঠে নার্সারী। শাহে আলমের ছেলে শাহবুদ্দিনের ৫০ হাজার গাছের মধ্যে আকাশমনি ১৫ হাজার, রেন্ট্রি ১০ হাজার, পেয়ারা ৫ হাজার, কাঠাল-আম ১০ হাজার অন্যান্য ৫ হাজার চারা রয়েছে। একই সাথে মোট ৬০হাজার চারা রক্ষণা-বেক্ষণ মালি ও তার ছেলে শাহাবুদ্দিন করেছেন বলে জানা গেছে। সরকারি জায়গায় এই ভাবে স্টাফ কর্তৃক নার্সরীর বাগান গড়ে উঠার বিষয়টি ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক খতিয়ে দেখা দাবী জানিয়েছেন স্থানীরা।
এই ব্যপারে মালি শাহে আলম জানান, রেঞ্জার স্যারের কমান্ডেই আমি নিজ উদ্যেগে চারা লাগিয়েছি।
চরফ্যাশন রেঞ্জার আওলাদ হোসেন পালোয়ান বলেন, শহে আলম গরিব মানুষ জাগাটা খালি পরে রয়েছে, তাই আমার ব্যক্তিগত ক্ষমতার বলে তাকে চাষ করতি দিয়েছি। চারা বিক্রির কিছু অংশ তার পকেটে আসে সেই বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবী করেন তিনি।
এমএএইচ/এজে/এফএইচ