সোমবার ● ১০ অক্টোবর ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » ভোলায় নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ নিধনের জন্য আগেই গভীর সমুদ্রে অসাধু জেলেরা
ভোলায় নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ নিধনের জন্য আগেই গভীর সমুদ্রে অসাধু জেলেরা
আদিত্য জাহিদ : মা ইলিশ মাছ প্রজননের লক্ষে আগামী মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ২ নভেম্বর পযর্šÍ ভোলার মেঘনার ইলিশা ঘাট থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে চর পিয়াল পযর্ন্ত এবং তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধি ঘোষণা করেছে সরকার। ইতি মধ্যে কিছু অসাধু জেলেরা গভীর সমুদ্রে গিয়ে অবাধ ও নিরাপদে মাছ নিধন করতে প্রস্তুতি নিয়ে অনেক জেলে টানা ২২দিন নদীতে অবস্থান করার মত উপকরণ, চাল, ডাল, বিশুদ্ধ পানি, লবন ও বরফ নিয়ে চলে গেছে বলে বিভিন্ন মৎস্য ঘাট থেকে একধিক বিশ্বস্থ সুত্র নিশ্চিত করেছেন । আবার অনেক জেলে নিষিদ্ধ সময়ের আগেই চলে যাবে এমন প্রস্ততি নিচ্ছে।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রশাসন মা ইলিশ নিধন প্রতিরোধ করতে কঠোর ভূমিকা পালনের জন্য গত ৬ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে মৎস্য বিভাগ, ৩ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা, চরমানিকা আউটপোস্ট কোস্টগার্ড নিয়ে সভা করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন জানান, এবার অবরোধ ২২ দিন করার কারনে মৎস্য অধিদপ্তর সারাদেশের মত চরফ্যাশনের ২২ হাজার নিবন্ধিত জেলেদের পূর্ণবাসনের জন্য ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চর মানিকা আউটপোস্ট কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. কামরুল ইসলাম জানান, ভোলা জোনাল অফিসের সহযোগিতায় ২৪ ঘন্টা নদীতে টহল অব্যাহত সহ দুরবর্তী জেলেদের আটক করার জন্য ভারী নৌযান, আকাশ পথে হেলিকপ্টার দিয়ে টহল রাখা হবে।
মৎস্য কর্মকর্তা জানান, অসাধু জেলেদের আটক করতে গৃহিত সকল সিদ্ধান্ত সভায় নেয়া হয়েছে। চরফ্যাশন, শশীভূষণ ও দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্রা জানান, আমাদের ও টহল টিম কাজ করবে।
চরফ্যাশন ক্ষুদ্র জেলে সমিতির সহ সভাপতি মো. নান্নু জানান, আমরা সকল জেলেকে অবরোধে নদীতে না যাওয়ার জন্য সাম্রাজ, খেজুর গাছিয়া, আটকপাট, বেতুয়া, বকসী, কলমী, চর পাতিলা, চরকচ্ছপিয়া, ঢালচর, মনুরা মৎস্য ঘাটে হ্যান্ড মাইক দিয়ে ঘোষণা করেছি। তবে সরকার জেলেদের ২০ কেজি চালের পরিবর্তে দাবিকৃত ৪০ কেজি করে চাল বিতরণ করার দাবী করা হয়েছে।
এফএইচ