চরফ্যাশনে বিদ্যুৎবিভ্রাটে অতিষ্ঠ গ্রাহকরা

চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি। বিদ্যুৎবিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীসহ গ্রাহকরা। বিদ্যুৎ আছে বোল্ডেজ নেই। আবার যখন বে¬াল্ডেজ বেশি হয়, তখন বিদ্যুৎ আসে আর যায়। ঘর থাকছে অন্ধাকারে। টিবি, ফ্যান, প্রিজ যাচ্ছে প্রায় নষ্ট হয়ে। কোন কোন সময় সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা এমনকি মধ্য রাতেও বিদ্যুতের দেখা মেলে না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পড়াশোনাসহ বিদ্যুনির্ভর কোনো কাজই ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। ফাকে কম্পিউটার দোকানীরা ২টাকার স্থলে নিচ্ছে ৪টাকা কম্পোজ করতে ২০টাকার স্থলে নিচ্ছে ৪০টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। চরফ্যাশন হাসপাতালে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে নিজস্ব জেনারেটর সরবরাহও নাজুক। গন্ধ-দূগন্ধ যেন ভাল মানুষ রোগী হয়ে যাচ্ছে। অথচ এসব বিষয়ে প্রশাসন ও প্রকৌশলী অফিসকে বারবার জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। যেন কি ভোগান্তি! কবে শেষ হবে জানে না কেউ।

জানা গেছে, পানি স্বল্পতায় নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে আবাসিক এলকারসহ ছাত্রীরা। সময়মতো বিদ্যুৎ না থাকায় এবং লোভোল্ডেজে পানি সরবরাহ কমে গেছে। এতে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজ করতে টিউবওয়েল থেকে বালতি ভরে পানি বহন করতে হচ্ছে। চরফ্যাশন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুলহক বলেন,বিদ্যুতের লোডসেডিং আমাদের প্রশাসনিক কাজে ও ব্যাপক ব্যঘাত ঘটায়।  লোডশেডিং বিষয়ে চরফ্যাশন বিদ্যুৎ উপ-সহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সবুজ রায় বলেন,আমার চেয়ে আবাসিক প্রকৌশলী ভাল জানে। আবাসিক প্রকৌশলী সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি ভাল সার্ভিস দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করছেন। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো।

এমএএইচ/এফএইচ