ভোলার সকল রুটে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সীমাহীন দূর্ভোগে যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার: ভোলা জেলার সকল রুটের অনির্দিষ্ট কালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ থাকায় সীমাহীন দূর্ভোগে পরেছে সাধারণ যাত্রীরা। সোমবার দুপুরের দিকে তুচ্ছ ঘটনার কেন্দ্র করে বাস শ্রমিক ও চরফ্যাশন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনাকে কেন্দ্রে করে মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লেখা (সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা) পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে চড়ম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।

জানা গেছে, সোমবার দুপুরে চরফ্যাশন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আসিফুর রহমান শিপনের গায়ে বাসের চাকাঁর কাদা শরীরে যাওয়ার জের হিসেবে ছাত্রলীগ কর্মী সমর্থকরা ও বাসশ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষে ৩ ছাত্রসহ ১০ জন আহত সহ বাস ডিপোতে হামলা করে ১১ বাস ভাংচুর করে। তার পর থেকে বাসমালিক সমিতি চরফ্যাশন-ভোলাসহ আঞ্চলিক সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে। বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় হাজার হাজার যাত্রী সীমাহীন দূর্ভোগে পরেছেন।

 বাস স্ট্যান্ডে অবস্থাকৃত নুরজাহান বেগম বলেন, তিনি ভোলা হাসপাতালে তার মেয়েকে ডেলিভারীর জন্য মঙ্গলবার সকালে রওয়ানা হলে বাস যাতায়াত বন্ধ থাকায় রোগী নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সও অন্যত্র চলে গেছে। এই ভাবে একাধিক যাত্রী রোগী ও প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কাজের বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিায়োগ রয়েছে।

সড়কের সাধারণ যাত্রী আবুল কালাম, হাসিব,মিজানসহ একাধিক যাত্রীরা বলেন, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চড়ম দুর্ভোগে পড়েছি। ঠিকমত অফিসে যেতে পারছিনা। বাস বন্ধ থাকায় অনেক দুর থেকে চরফ্যাশনে রিক্সায় করে আসতে হয়। বাস বন্ধ সুযোগ কাজি লাগিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন ইঞ্জিন চালিত যানবাহন।

সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী লিমা, সাকিলা, আকবর, তনয়, রাসেদ জানান, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আমরা ঠিক সময়মত স্কুলে যেতে না পারায় পরীক্ষায় অনেক সময় ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও অনেক টাকা খরচ করে রিক্সা করে স্কুলে পৌছতে হয়েছে। আমরা এটির দ্রুত নিস্পতি চাই।

এ ব্যাপারে চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামূল হক বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাস মালিক ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা চলছে। আশা করি দ্রুত সমাধানে পৌছবে।

এব্যাপারে জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেনের ব্যবহীত মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য,  সোমবার দুপুরে চরফ্যাশন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি আসিফুর রহমান শিপনের গায়ে বাসের চাকাঁর কাদা শরীরে যাওয়ার জের হিসেবে ছাত্রলীগ কর্মী সমর্থকরা অফিসে হামলা ও ভাংচুর করে এবং স্ট্যান্ডে থাকা ১১ বাস ভাংচুর করে। বাস ডিপোতে হামলা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে তখন থেকে  ভোলার সব রুটের বাস চলাচল অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রাখা ভোলা জেলা বাস মালিক সমিতি।

এদিকে, এ সমেস্যা দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রী ও স্কুল কলেজে পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা।

জেএস/এমএএইচ/এফএইচ