বুধবার ● ২৯ জুন ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে যুবতীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনকারী কথিত যুবলীগ নেতা কাজল গ্রেফতার হবে কি ?
চরফ্যাশনে যুবতীকে গাছে বেঁধে নির্যাতনকারী কথিত যুবলীগ নেতা কাজল গ্রেফতার হবে কি ?
এস,ইউ সোহেব: ভোলার চরফ্যাশনে যুবতীকে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের প্রধান আসামী কথিত যুবলীগ নেতা কামরুল ইসলাম কাজলসহ বাকি আসামীরা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বাদীসহ এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা মনে করছে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে পুলিশ কাজলকে গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এটি সত্য নয় বলে দাবি করা হয়েছে।
নির্যাতিত নুর নাহার অভিযোগ করে বলেন, গত ৪ মে রাতে চরফ্যাশন থানায় ৭ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করার পর পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। রহস্যজনক কারণে প্রধান আসামী কথিত যুবলীগ নেতা কাজলসহ বাকি ৫ আসামিকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করছে না। মামলার কয়েকদিন পর থেকে লম্পট কাজল ঢাকা- নারায়নগঞ্জ অবস্থান করলেও বাকি ৪ আসামী এলাকায় ঘোরা-ফেরা করছেন। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হলেও তারা কোনো গুরুত্ব দেয় না।
নুর নাহার আরো অভিযোগ করেন, কাজল তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেবে বলেও হুমকি দেয় আসামীরা।
এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মহাসিন বলেন, বাদীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। দুই/একদিনে মধ্যে রিপোর্ট পেয়ে যাব। বাদীকে আসামীরা হুমকি দিলে থানায় জিডি করতে হবে।
তিনি বলেন, পুলিশ এলাকায় গেলে আসামিরা কোথায় আছে কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারছে না। তবে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের চেষ্টা চলছে বলেও জানান মামলার আইয়ু ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক এলাকাবাসী জানান, কথিত লম্পট যুবলীগ নেতা কাজল একই এলাকার তেতুঁলিয়া নদীর বউ বাজার নামক মাছ ঘাট ও গাছির খাল নামক ঘাটে জেলের কাছ থেকে চাঁদাবাজী, জমি দখল করে নিজের নামে কাজল বাজার নির্মাণ করে, ভেজাল প্রেক্টল বিক্রয়, চুরাই মোটসাইকেল ক্রয় বিক্রয়, প্রতারণা নারী কেলেংকারী সহ নানান অপরাধ মূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা ও নানা ভাবে লাঞ্চিত ও বিভিন্ন ভাবে হয়রানীর ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। তারা আরো বলেন, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকার কারণে ও পুলিশের সাথে কাজলের ভালো সখ্যতা থাকায় এত বড় আলোচিত ঘটনার পরেও কাজলকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছেন বলেও জানান তারা।
উল্লেখ্য, চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নজির মাঝির হাট এলাকার নজির মাঝির ছেলে উপজেলা যুবলীগের সদস্য মো. কামরুল ইসলাম কাজলের (৩০) সাথে প্রায় এক বছর ধরে পাশ্ববর্তী এলাকার মো. মনিরের স্ত্রী নুর নাহারের (২৬) পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি স্বামী মনির টের পেলে নাহারকে তার বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। এ সুযোগে লম্পট কাজল, নুর নাহারকে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এলাকায় এ সম্পর্কে বিষয়টা জানাজানি হয়ে গেলে গত ৪ মে সকালে নাহারকে বাড়িতে নিয়ে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন চালায় কথিত এ যুবলীগ নেতা কাজল ও তার পরিবারের লোকজন।
এফএইচ