বুধবার ● ২৭ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন: চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত জসিম আহম্মেদের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র বিক্রির টাকা, শিক্ষা সপ্তাহ, নতুন বিদ্যালয় পাঠানো, বাল্য বিবাহের প্রশিক্ষণ, আন্তঃক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরষ্কারের টাকা, প্রাক প্রাথমিক শ্রেণির উপকরণ সহ বিভিন্ন খাতের টাকা আত্মসাত দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ১ম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কমিটির কোন সহযোগীতা না নিয়ে নিজেই বিক্রি করে প্রায় ১ লাখ টাকা আত্মসাৎ, শিক্ষা সাপ্তাহের মেলা-২০১৬ না করে ১০ হাজার টাকা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আসা ৫০ টি নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জাতীয় করণের নামে রিপোর্ট প্রদানের জন্যে উপজেলা শিক্ষা কমিটির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পাঠানোর নামে প্রতি বিদ্যালয় থেকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বিদ্যালয় পাঠানো হচ্ছে। ইতিপূর্বে মোটা অংকের বিনিময়ে মধ্য নুরাবাদ বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব চরযমুনা বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এওয়াজপুর আদর্শ বে-সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয় প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ১১ শ শিক্ষকের বাল্য বিবাহের প্রশিক্ষণ থেকে জন প্রতি ৩০ টাকা হারে মোট ৩৩ হাজার টাকা গ্রহণ, প্রশিক্ষণের প্যাড, কলম ও ফাইল বাবৎ জন প্রতি ৬০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও কোন-অডিনেটর হিসাবে শিক্ষা অফিসার ২০ টাকা করে ব্যয় করে মোট ৪৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ একই প্রশিক্ষণের চীফ গেস্ট, চেয়ার ও ভ্যানু ভাড়া বাবৎ পুরা টাকা খরচ না করে ৫ হাজার টাকা শুধু ভ্যানু ভাড়া দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানা যায়। এ বিষয়টি শিক্ষক সমাজের মধ্যে নানান জল্পনা-কমল্পনার রূপ নিয়েছে বলেও চাউর রয়েছে। ২১ এপ্রিল প্রশ্নপত্র বিক্রির সময় শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত খন্দকার জসিম আহম্মেদ সন্ধ্যায় সহকারী শিক্ষা অফিসার মোসলেহ উদ্দিন, খালিদ হোসেন ও সাইদুর রহমানের অফিস কক্ষ তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন। এ নিয়ে শিক্ষা অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অবহিত হলে ওই দিনই সন্ধ্যায় নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিমের বাসায় প্রায় ১ ঘন্টা বৈঠক শেষে মিমাংসা করা হয় বলে জানা গেছে। শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত খন্দকার জসিম আহম্মেদ তাকে মারধর করা হয়েছে বলে অপপ্রচার চালায়। পাক প্রাথমিক শ্রেণির উপকরণের জন্যে উপজেলায় ২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে ৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ আসছে। প্রতিষ্ঠান ওয়ারী ৩০০ টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা আত্মসাতের প্রক্রিয় করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও উপজেলার বিছিন্ন দ্বীপ মজিব নগর ইউনিয়নের উত্তর চরমোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (৩য় দাপের ) প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক এমরান, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, রাশিদা বেগমের পরিবর্তে ওই বিদ্যালয়ে নামে মাত্র শিক্ষক (স্কুলে কোন দিন যাননি) রোকসানা বেগম, কানিজ ফাতেমা ও রহিমা আহম্মেদ রুমাকে এবং পাশ্ববর্তী বিদ্যালয়ের আমেনা বেগমের পরিবর্তে রফিকুল ইসলামকে প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করানো হয়েছে বলেও ওই এলাকার স্থানীয় অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। এই ব্যাপারে শিক্ষা অফিসার ভারপ্রাপ্ত খন্দকার জসিম আহম্মেদের সাথে আলাপ করতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভাব হয়নি।