মঙ্গলবার ● ১৯ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে বিদ্যুতের ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ গ্রাহক
চরফ্যাশনে বিদ্যুতের ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ গ্রাহক
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন: চরফ্যাশন পৌর শহরসহ আঞ্চলিক এলাকাগুলোতে চলছে বিদ্যুতের বেলকিবাজী। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থী সহ নানান পেশার মানুষ। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা এমনকি মধ্য রাতেও বিদ্যুতের দেখা মেলে না। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান আবাসিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পড়া-শোনাসহ বিদ্যুনির্ভর কোনো কাজই ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুতের বেলকিবাজীর কারণে কম্পোজ এবং ফটোকপির দোকানগুলিতে ঘন্টার পর ঘন্ট দাড়িয়ে থেকে কাজ করতে জনগণ দূর্ভোগে বিদ্যুকর্র্র্র্তপক্ষকে গালমন্দ করতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে চরফ্যাশন বাজার ম্পোজ,ফটোকপি’র দোকানে কাজ করতে গেলে এক টাকার ফটোকপি ৫টাকা, ২০টাকার কম্পোজ নেওয়া হয় ৪০ টাকা তবুও ভীর করছে দোকানগুলিতে। চরফ্যাশন হাসপাতালে বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে নিজস্ব জেনারেটর সরবরাহও নাজুক। গন্ধ-দূগন্ধ যেন ভাল মানুষ রোগী হয়ে যাচ্ছে। অথচ এসব বিষয়ে প্রশাসন ও আবাসিকব প্রকৌশল অফিসকে বারবার জানানো হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের। অন্যদিকে লো-বোল্ডেসে ফ্রিজ, টিভি, ফ্যানগুলো চলছে নিভু নিভু করে। বাতাস যেন শরীর ঠান্ডা হচ্ছেনা। এ ভোগান্তি কবে শেষ হবে কেউ জানে না। স্টার কম্পিউটার এন্ড ফটোস্ট্যাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. সবুজ বলেন, তবে আশার বাণী শুনে আসছি এমাস পর হাই বোল্ডেজে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। একমাসে কত মাস চলে গেলে কিন্তু চরফ্যাশনবাসী‘র কেউ খোঁজ নিলনা। উপ-মন্ত্রী আলহাজ্জ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি যতদিন এলাকা থাকবে ততদিন হাই-বোল্ডেসে বিদ্যুৎ থাকবে। তখন আর বিদ্যুতে সমস্যা দেখা দেয়না। চরফ্যাশন ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বিদ্যূৎও চলে যায়। বিদ্যুতের সমস্যা হলে ওই সময় কেন সমস্যা থাকেনা প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। জানা গেছে, গ্রীষ্ম আসার সাথে সাথে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লুকোচুরি। শুধু কালবৈশাখী ঝড়ে নানা সমস্যার কারণ আকারণে অজুহাতে বেড়েছে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই মধ্যেই লোডশেডিং। কখনো কখনো টানা কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। মাঝে মধ্যে বিদ্যুতের ভোল্টেজ এতই কম থাকে যে বৈদ্যুতিক পাখাও ঘুরে না। এতে তীব্র গরমে নাকাল হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া সময়মতো বিদ্যুৎ না থাকায় আবাসিক হলগুলোতে পানি সরবরাহ কমে গেছে। পানি স্বল্পতায় নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে আবাসিক ছাত্রীরা। এ ব্যাপারে চরফ্যাশন সরকারি কলেজ আবাসিক হলের শিক্ষার্থী কলেজ সভাপতি শিপন, আরাফ হোসেন, শিক্ষার্থী জোয়া, নিশি বলেন, ‘আমরা হলের এখানে ১০ মিনিট বিদ্যুৎ না থাকলে রুমে অবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়ে। সময়মতো বিদ্যুৎ না থাকায় পানি সরবরাহ কমে গেছে। এতে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজ করতে টিউবওয়েল থেকে বালতি ভরে পানি বহন করতে হচ্ছে। কলেজ ছাত্র রাসেল বলেন, ‘আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা চলছে। দিনে-রাতে বিদ্যুতের কারণে পড়ালেখা ও নিয়মিত ঘুম হচ্ছে না। এর প্রভাব পড়ছে পরীক্ষায়, আশা অনুযায়ী পরীক্ষা দিতে পারছি না। লোড-শেডিং বিষয়ে চরফ্যাশন বিদ্যুৎ উপ-সহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সবুজ রায় বলেন, আমার চেয়ে আবাসিক প্রকৌশলী ভাল জানে। আবাসিক প্রকৌশলী সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি মিটিং আছেন বলেন এরিয়ে যান।