রবিবার ● ১৭ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে দু’ই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির সংবাদ ভোলার সংবাদে প্রকাশের পর তোলপাড়
চরফ্যাশনে দু’ই বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে জালিয়াতির সংবাদ ভোলার সংবাদে প্রকাশের পর তোলপাড়
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: তীতৃয় ধাপে জাতীয় করণকৃত চরফ্যাশনের উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম চর লিউলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের বাদ দিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেখিয়ে তালিকা প্রেরণের অভিযোগে ভোলার সংবাদ ডট কম এ সংবাদ প্রকাশের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, রাশেদা বেগম, সালেহা ও পশ্চিম চর লিউলিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আমেনা বেগম অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়টি দু’টি প্রতিষ্ঠালগ্নে বিধি মোতবেক নিয়োগ পেয়ে তারা ২৫/০৮/১০ তারিখে যোগদান করে বিদ্যালয়ের অধ্য পর্যন্ত পাঠদান অব্যাহত রেখেছেন। চরফ্যাশন শিক্ষা অফিসের দালাল আব্বাস উদ্দিন ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে গত ১৮ নবেম্বর ২০১৩ তারিখে চরফ্যাশন উপজেলার সরকারি করণের জন্য শিক্ষকদের যাচাই বাছাই কমিটির ৬ষ্ঠ সভায় পশ্চিম চর লিউলিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেদের নামের তালিকায় আমেনা বেগমের পরিবর্তে রফিকুল ইসলাম নাম দেওয়া হয়। একই ভাবে উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন, সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদা বেগমকে বাদ দিয়ে প্রধান শিক্ষক পদে রোখসানা বেগম এবং সহকারী শিক্ষক পদে রহিমা আহমেদ রুমা ও কানিস ফাতেমার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অতছ এরা কোন দিন ওই স্কুলেও যায় নি। স্কুল কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রেজুলেশনের মাধ্যমে ওইসব নিয়োগ দেখানো হয়েছে। এসময় উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সাইফুল্লাহ মোল্লাসহ কমিটির একাধিক সদস্য ও অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্নে প্রধান শিক্ষকপদে এমরান হোসেন, সহকারি শিক্ষকপদে আবুল কালাম আজাদ, রাশেদা ও সালেহাকে নিয়োগ দেখানো হয়েছে বলে অভিয়োগ রয়েছে। নিয়োগের পর থেকে তারা স্কুলের ক্লাস অব্যাহত রেখেছেন। অন্য কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি এবং তাদেরকে তারা ছিনেন না। পশ্চিম চর লিউলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আ. মালেক বেপারী ও প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম জানান, ওই স্কুলের শিক্ষিকা আমেনা বেগম কখনও পদত্যাগ করেননি এবং রফিকুল ইসলাম নামের কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। এব্যাপারে ভূক্তভোগী শিক্ষকরা প্রতিকার ছেয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অফিযোগ প্রসঙ্গে আব্বাস উদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন।