শনিবার ● ১৬ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে শিক্ষা কমিটির স্বাক্ষর জাল করে চার শিক্ষকে হয়রানির অভিযোগ
চরফ্যাশনে শিক্ষা কমিটির স্বাক্ষর জাল করে চার শিক্ষকে হয়রানির অভিযোগ
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশনে উপজেলা শিক্ষা কমিটির স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে চার শিক্ষকে হয়রানির করা হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মজিব নগরের দু’টি সদ্য জাতীয় করণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতারক চক্র হয়রানী করছেন।
শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, উত্তর চর-মোতাহার গ্রেজেট ভুক্ত জাতীয় করণ(তৃতীয় ধাপ) প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন, সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, ছালেহা আক্তার, রাশিদা বেগম এবং পশ্চিম চরলিউলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, সহকারি শিক্ষক আমেনা বেগম সহ ৮জন পাঠদান পরিচালনা করছেন। দু‘ই বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব সাইফুল মোল্লাহ ও মালেক বেপারী জানান, উত্তর চর মোতাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন,সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, রাশিদা বেগম, ছালেহা আক্তার সরকারি বিধি মোতাবেক দৈনিক আজকের বার্তা পত্রিকার বিজ্ঞাপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর/ ২০১০ সালে বিদ্যালয়ের যোগদান করেন। একেই নিয়েমেই পশ্চিম চরলিউলিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম,সহকারি শিক্ষক আমেনা বেগম সহ ৪ জন শিক্ষক ২৫ সেপ্টেম্বর/ ২০১০ সালে যোগদান করে নিয়মিত পাঠদান করে আসছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল আহাম্মদ গত ৩ সেপ্টেম্বর/ ১১ইং ও ৩০ জানুয়ারী/ ১৩ তারিখে বিদ্যালয় পরিদর্শন করে এসকল শিক্ষক পাঠদান অবস্থা রয়েছে বলে শিক্ষক হাজিরা সূত্রে জানা গেছে। গত ৪ এপ্রিল/ ১৩ তারিখে সহকারি শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান ও বিদ্যালয় গুলো পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেন অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষক দালাল আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২ টির ৪ শিক্ষকে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ফাইল গায়েব করে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সই-স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তর চর-মোতাহার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এমরান হোসেনের পরিবর্তে রোকসানা বেগম, সহকারি শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের পরিবর্তে রাহিমা আহাম্মদ রুমা, রাশেদা বেগমের পরিবর্তে-কানিজ ফাতেমাকে এবং পশ্চিম চর-লিউলিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে শুধু আমেনা বেগমের পরিবর্তে-রফিকুল ইসলামের নামের তালিকা অর্ন্তভুক্তি করে সুযোগ সুবিধা নেয়ার পায়তারা করেছে। প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গ্রেজেটে উল্লেখ রযেছে শিক্ষক নিয়োগের পর ৩ বছর যোগ্যতা যাচাই এর জন্য সময় দেওয়া হয়ে থাকে। জাল-জালিয়াতির কথা বলা হলেও এসকল নিয়োগকৃত শিক্ষক এখনো এমপিও ভুক্তির আওতায় আসেনি।
প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলিকে জাতীয় করণের ঘোষণা করলে এক শ্রেণীর দালাল চক্র চরফ্যাশন উপজেলা চত্বরে মাথা চারা দিয়ে উঠে। আমিনাবাদ মাদার তলি সদ্য জাতীয় করণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্বাস উদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন দালাল শিক্ষক জাতীয় করণের অপেক্ষমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফাইল পত্র জেলা শিক্ষা অফিস ও মন্ত্রণালয়ে আনা নেওয়ার সুবাদে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় অভিভাবক মাওঃ শাহাবুদ্দিন জানান, আ-ার গ্রান্ডউ ও নাম সর্বত্র পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক রোকসানা বেগম, সহকারি শিক্ষক রহিমা আহাম্মেদ রুমা, কানিজ ফাতিমা ও রফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দেখানো হয়েছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সোনালী বার্তা পত্রিকার মাধ্যমে। অথচ ওই নামের পত্রিকার মূল কপিতে এমন কোন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুটি বিদ্যালয়ের দু‘ই সভাপতি জানান, প্রতিষ্ঠানলগ্ন থেকে আমরা যাদেরকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে ওই শিক্ষকরাই পাঠদান করেছে। এখনও সরকারি বিধিমোতাবেক বিদ্যালয় পরিচালনা করেছে। এব্যাপারের অভিযুক্ত আব্বাসের সাথে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
চরফ্যাশন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ( ভারপ্রাপ্ত) জসিম আহম্মেদ বলেন দুইজন শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে একটু সম্যাসা রয়েছে। আমি সদ্য যোদান করেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।