শনিবার ● ২ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » সাবরেজিস্টার অফিস থেকে সেন্ডিকেটের মাধ্যমে এমপিরাও কমিশন গ্রহণ করে: চরফ্যাশন ইউএনও
সাবরেজিস্টার অফিস থেকে সেন্ডিকেটের মাধ্যমে এমপিরাও কমিশন গ্রহণ করে: চরফ্যাশন ইউএনও
এম আমির হোসেন চরফ্যাশন: সাব-রেজিস্টার অফিস করে ডাকাতি। আর দলীল লেখকরা সেন্ডিকেট সৃষ্টি করে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট এমপিরা কমিশন গ্রহণ করে থাকে। সাংবাদিক ভাইয়েরা শুধু ভূমি অফিসের অনিয়মই দেখেন কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কোন নজর নেই। শনিবার ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০১৬ র্যালী শেষে আলোচনা সভায় চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)’র অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত অফিসার রেজাউল করিম এ কথা গুলো বলেন।
তিনি আলোচনা সভায় ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় মিডিয়া কর্মীর উপস্থিতিতে আরো বলেন, তার বাবার একটি দলীলের ব্যপারে (তার) এলাকায় জনৈক দলীল লেখক এক লক্ষ টাকা দাবী করেছেন। ওই সময় ইউএনও ছিলেন তৎকালীন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্টারকে বললে জমিটি মাত্র ২০ হাজার টাকায় দলীল সম্পন্ন করা হয়। তার বেলায় যদি এ হয় তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হয় তার মত প্রকাশ করেন ইউএনও। ভূমি সংক্রান্ত বিষয় তিনি ভূমি অফিসসহ ও আরো দু’ অফিসকে দায়ি করেছেন তা হলো স্যাটেলম্যান ও সাব-রেজিস্টার অফিস। এদের অনিয়মের জন্যে ভূমি অফিস অনেক বেগ-পোহাতে হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন। উপজেলার ভূমি অফিস গুলো যে ভাবে রেকর্ড সংরক্ষণের জন্যে অফিস প্রয়োজন সে অফিস না থাকায় সঠিক ভাবে ভূমি রেকর্ড সংরক্ষণ করা সম্ভাব হয়না। ফলে ভূমির জন্যে আদালতে মামলার জট থাকে। আগামী ৮/১০ বছরের মধ্যে ভূমি ডিজিটাইজেস্ট হবে তাহলেই সাধারণ মানুষের অনেক ভোগান্তি দূর হবে।
ইউএনও আরো বলেন, সাব-রেজিস্টার অফিসের দলীল লেখকের কাছে অনেক সময় সাব-রেজিস্টার অফিসারও নিরুপায় হয়ে যায়। দলীল না হলে সাব-রজিস্টারের বিরুদ্ধে দলীল লেখক সেন্ডিকেট সৃষ্টি করে উঠে-পড়ে লাগে। আর দলীল লেখকদেরকে নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় এমপিরা। তারা ওই সংগঠন থেকে কমিশন আদায় করে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সার্বেয়ার ফোরকান, জুয়েল, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নাসিম হায়দার, আলাউদ্দিন, ইরিয়াম মিয়া, নোমান, নাসির উদ্দিন, নাজির রেজাউল করিম মন্টু, ফারুক হোসেন, অফিস সহকারী শিমুল সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।