রবিবার ● ২০ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » লালমোহনে মেম্বার প্রার্থীর হাতের কব্জি নিয়ে গেল প্রতিপক্ষ
লালমোহনে মেম্বার প্রার্থীর হাতের কব্জি নিয়ে গেল প্রতিপক্ষ
লালমোহন প্রতিনিধি • লালমোহন ধলিগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৬নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী জাকির হোসেন ভুইয়ার বাম হাতের কব্জি কেটে নিয়ে গেল প্রতিপক্ষ মেম্বার প্রার্থী গিয়াস ভুইয়ার ক্যাডার বাহিনী।
রোববার সকাল টার সাড়ে ১০ টার দিকে ইউনিয়নের চর মোল্লাজী গ্রামে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় জাকির। এ সময় পুর্ব পরিকল্পিতভাবে জাকিরের উপর হামলা চালায় ক্যাডাররা। এতে জাকিরের বাম হাতের কব্জা কেটে উল্লাস করে ক্যাডাররা। এ ঘটনায় মঞ্জু নামে আরো এক কর্মী আহত হয়। স্থানীয় সুত্র জানায়, ঐ এলাকার করিম চৌকিদারের বসত ঘরের সামনে ক্যাডার রিয়াজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাকিরের হাতের কব্জা কেটে নিয়ে তাকে খালের পানিতে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে মেম্বার প্রার্থী জাকির হোসেনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের সহযোগিতায় দুপুর পৌনে ১টায় তাকে লালমোহন থেকে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এলাকা সূত্রে জানা গেছে, সাকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়াডের্র মেম্বার পদ প্রার্থী মো. জাকির হোসেন নির্বাচনি প্রচারণার সময় একই এলাকর চাঁন মিয়া হাজী রাড়ির সামনে প্রতিপ্রক্ষ প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন ভূইয়ার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন কর্মী জাকির ভূইয়াকে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে। এসময় জাকির হোসেন ভূইয়ার বাম হাতের কব্জি আলাদা করে খালে ফেলে দেওয়া হয়। অপরদিকে বিকেলর দিকে গিয়াস ভূইয়ার নির্বাচনী অফিস ও একটি বসত ঘরে আগুন দিয়েছে জাকির ভূইয়ার কর্মীরা।
অভিযুক্ত মেম্বার পদ প্রার্থী গিয়াস ভূইয়ার ব্যবহীত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লালমোহন সার্কেলের এএসপি মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে আমি পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ওই এলাকাব্যাপী পুলিশের চিরনী অভিযান চালানো হয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে মেম্বার পদ প্রার্থী গিয়াস ভূইয়ার কর্মী আশেক এলাহী ও তার ছেলে সুমন মসজিদে যাওয়ার সময় পরিকল্পিত ভাবে জাকির ভূইয়ার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী এলোপাথাড়ি ভাবে হামলা ও কুপিয়ে জখম করে। এসময় বাধা দিলে জামাল, মামুন, আব্বাস, আসলাম, পলাশ, আব্দুল আজিজ সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়।