চরফ্যাশনে সাংবাদিকসহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার: ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হয়রানির শিকার  দিনকাল প্রতিনিধি সাংবাদিক নুরুল আমিন সহ বিএনপির নেতা-কর্মীরা। দায়েরকৃত মামলার বাদী উপজেলা মহিলা লীগ নেত্রী দিলারা বেগম । এ মামলায় স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ২৩ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আরো ২০/২৫ অজ্ঞতনামা আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পুলিশ এ মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীর বাড়িতে  হানা দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, দিলারা বেগমের স্বামী চরফ্যাশন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চরফ্যাশন ফাতেমা মতিন মহিলা কলেজের প্রদর্শক মিজানুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ নেতা এনায়েত উল্যাহ সবুজ দলীয় প্রার্থীর পক্ষে গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রচারণায় অংশ নেন। এসময় পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ডে বাদিনীর পৈত্রিক বাড়ির সামনে প্রচারণায় বাধা দিয়ে বিবাদীরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বিবাদী রাশেদ কাজীসহ আসামিরা প্রদর্শক মিজানুর রহমান ও এনায়েত উল্যাহ সবুজকে মারধর করে একটি মোবাইল সেট ও একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পৌর ৯নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, এ মামলার বাদিনী দিলারা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার ছোট ভাই মো. রাশেদ কাজীকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়া আসন্ন পৌর নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানি করতেই এ মামলা দায়ের করা হয়েছে ।
এদিকে চরফ্যাশন পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ. ন. ম. আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ দাবি করেছেন পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দূরে রাখতেই মহিলা লীগ নেত্রী বাদী হয়ে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করেছে।
মামলায় এজাহার নামীয় ২৩ নেতা-কর্মী ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরো ২০/২৫জনকে আসামি করায় পুলিশ রাতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হানা দিয়ে হয়রানি করছে বলে তিনি দাবি করছেন।
এদিকে উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ও পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়কারী মোতাহার হোসেন আলমগীর মালতিয়া জানান, চরফ্যাশন পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ মিয়ার ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে বিএনপি নেতা-কর্মীরা যাতে প্রচার-প্রচারণায় নামতে না পারে সেই জন্য মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে এ মামলা দেয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে পুলিশ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আওয়ামী লীগ নেতাদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। যাতে আসন্ন ১৫ ফেব্রুয়ারি পৌর সভার ভোট গ্রহণের দিনের পূর্বে বিএনপি নেতা-কর্মীরা এলাকায় ফিরতে না পারে।
অপরদিকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে দায়ের করা মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মিথ্যা এ মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ভোলা- ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম। সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের একান্ত সহকারী সুশান্ত চন্দ্র দাস বিপ্লব স্বাক্ষরিত বিবৃতি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।