বৃহস্পতিবার ● ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » আইন ও অপরাধ » ধনিয়ায় গাছকাটা নিয়ে সংঘর্ষ : মহিলা সহ আহত-৭ জন
ধনিয়ায় গাছকাটা নিয়ে সংঘর্ষ : মহিলা সহ আহত-৭ জন
বিশেষ প্রতিনিধি • ভোলায় ধনিয়া ইউনিয়নে গাছকাটা নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মহিলা সহ আহত হয় অন্ত্যত- ৭ জন। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আবুল কালাম (৫০) ও নুর জাহান (৪৫) অবস্থা অশঙ্কাজনক। কালামকে বিকালে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয়। ৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ানে নবীপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ হামলাকারীদের মধ্যে নিজাম ও শাহীনকে আটক করেছে। এই ঘটনায় রাতেই ভোলা থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। জানা যায় যে, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ানের ৯ নং ওয়ার্ডের নবীপুর এলাকার দালাল বাড়ীর সীমানার গাছ কাটছিল স্থানীয় সন্ত্রাসী সাদ্দাম। তখন তাকে ঐ বাড়ীর আবুল কালাম ড্রাইভার (৫০) গাছ কাটতে ঢাক দিলে সাদ্দাম তখন ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে গাছের ডালা দিয়ে মাথায় বাড়ী দেয়। পরে তিনি সাদ্দামের হাত থেকে বাচঁতে বাড়ীর দিকে যাওয়া ধরলে তাকে আবার ধরে সাদ্দামের বাড়ীর দিকে নিয়ে দাও দিয়ে মাথায় কোপ দেয়। এসময় তার নাক কেটে যায়। প্রচুর রক্ত ক্ষরন হয়। পরে তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় বাড়ীর উঠানে ফেলে রাখে। এই খবর পেয়ে কালাম এর বাড়ীর লোকজন সাদ্দামদের বাড়ীর দিকে কালামকে বাচাঁতে এগিয়ে আসলে সাদ্দাম সহ শাহীন, ইউসুফ, নিজাম, শাহিন, যুবায়ের, পারভীন, নারগিস মিলে ধারালো অস্ত্র সস্ত্র সহ দিয়ে কালামের বাড়ী থেকে আসা ৭জন কে গুরত্বর আহত করে। আহতরা হলেন-আবুল কালাম (৫০), নুরুল হক(৫৫), নাজিম উদ্দিন (১৯)মহিউদ্দিন, রুমা (২৫), নুর জাহান(৪৫), সাকিল।
তাদের সবাইকে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ড্রাইভার আবুল কালাম এর অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে তার পরিবার জানায়। এই ঘটনায় রাতেই ভোলা থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবীর জানান, কালামদের সাথে সাদ্দামদের পরিবারের জমি জামা নিয়ে অনেক আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল । বিষয়টি আমাকে কয়েকবার জানাননো হয়। আজ যা কটেছে তা সত্যিই মর্মান্তিক ।
ভোলা থানার ওসি খায়রুল কবীর বলেন, এই ধরনের সংঘর্ষের ঘটনার খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমি ভোলা থানার এস আই সাইদকে ঘটনাস্থলে পাঠাই। ইতিমধ্যে আমরা-২জনকে আটক করেছি। মামলা হলে অন্যান্য আসামিদের ধরা হবে।