বুধবার ● ২৭ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে কোচিং বাণিজ্য জম জমাট
চরফ্যাশনে কোচিং বাণিজ্য জম জমাট
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিদের্শকে অমান্য করে প্রশাসনের বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে চলছে কোচিং বাণিজ্য জমজমাট হয়ে উঠেছে। সরকারি ভাবে কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা তোয়াক্কা না করে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন।
তথ্য ও অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কোমলমতি অধ্যায়নরত ছাত্র ছাত্রীদের কোচিং এ পড়ার জন্য বাধ্য করে কিছু অসাধু শিক্ষকরা। এসকল শিক্ষকরা কোচিং বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে অনেকে। ছাত্র/ছাত্রীরা কোচিং এ ভর্তি না হলে পরিক্ষায় ফেল করানো হবে এমন ভয় দেখানোর অভিযোগ বরেছে কিছু অসাধু শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে ট্যালেন্ট কেয়ার, পপুলার, সাউথ ফ্যাশন, গ্লোরিয়াস একাডেমী, মাতৃছায়াসহ বেশ কয়েটি কোচিং সেন্টার য়েছে প্রশাসনের নাকের ঢগায়। এ সকল কোচিং সেন্টারে নোট গাইড দেয়ার জন্যে এক শ্রেণির অসাধু কোম্পানী গুলোর প্রতিনিধি কন্টাকের মাধ্যমে নোট-গাইড দেয়া শুরু করে দিয়েছে। এখানে যেসকল শিক্ষক রয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষক বর্তমানে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়জিত রয়েছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা বাস্তবে বাস্তবায়ন না করে কোচিং বাণিজ্যে মেতে উঠেছে। এতে একদিকে যেমন শিক্ষা ব্যবস্থা হ্রাস পাচ্ছে, তেমনি মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীরাও প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে অভিভাবকদের ও আর্থিক হয়রানির শিকার হতে হয়। কোচিং সেন্টারের ৫ম শ্রেণির ছাত্র তানভির ও রিয়া জানায়, তাদেরকে প্রতি মাসে ১২শ টাকা করে কোচিং ফি দিতে হয়। কোচিং সেন্টারের পরিচালকদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
এব্যাপারে চরফ্যাশন মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আরিফ হোসেন বলেন, কোচিং সেন্টারের ব্যাপারে আমরা খুব শিঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেবো। মাননীয় মন্ত্রী মহাদয়ের সহযোগিতায় নিয়ম এবং নীতি অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হবে। কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করে গরীব মেধাবি ছাত্র/ছাত্রীদেরকে পড়া লেখার সু-ব্যবস্থা করে দেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন সচেতন মহল।