সোমবার ● ১৮ জানুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে আ’লীগের বাদল,বিএনপির আমিরুল মেয়র প্রার্থী
চরফ্যাশনে আ’লীগের বাদল,বিএনপির আমিরুল মেয়র প্রার্থী
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন: চরফ্যাশন পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে আ’লীগ ও বিএনপির দু’দলের প্রার্থী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী ২০ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. আবু ইউসুফ জানান, কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারী চরফ্যাশন পৌর নির্বাচন সম্পন্ন করতে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। সোমবার থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতেও শুরুকরেছে প্রার্থীরা। আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসাবে পৌর আ’লীগের সভাপতি বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ ও বিএনপি প্রার্থী হিসাবে সাবেক মেয়র আমিরুল ইসলাম মিন্টিজকে মনোয়ন দেওয়ার সিন্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। রোববার জেলা- উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি ও সম্পাদকদের স্বাক্ষরিত সুপারিশসহ মেয়র পদের আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাছাইকৃতদের নাম চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পরিবেশ ও বন উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব জানান, দু’মাস আগেই উপজেলা পর্যায়ের মিটিংয়ে বাদল কৃষ্ণ দেবনথের নাম প্রস্তাবিত করা হয়। ওই একটি নামই জেলা কমিটির কাছে পাঠানো হয়। সোমবার ভোলা জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু, জেলা আ’লীগ সম্পাদক আবদুল মমিন টুলু’র বৈঠকে ওই নামই কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত হয়। রোববার ঢাকায় বসেই সাবেক এমপি চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি সভাপতি নাজিম উদ্দিন আলমের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ওই বৈঠক শেষে সাবেক মেয়র চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম মিন্টিজকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়। এমন গ্রীণ সিগন্যাল পেয়ে গতকাল মিন্টিজ তার আয়কর রিটার্নসহ বিভিন্ন কাগজপত্র তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মেয়র পদের জন্য বিএনপির ৫ জন প্রার্থীর দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। এদের মধ্যে গত ৩ বারের নির্বাচন করেছে ওই প্রার্থীর অভিজ্ঞতা থাকায় মিন্টিজকেই মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। অপরদিকে গতকাল পর্যন্ত বিএনপি দলীয়ভাবে কাউন্সিলর প্রার্থী নিশ্চিত করতে পারেননি। আবার ক্ষমতাসীন আ’লীগ থেকে কাউন্সিলর পদে একাধিক তরুণ ও যুব নেতারা এবার প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ নিয়ে মাঠে নামলেও বিএনপির অনেকেই কাউন্সিলর প্রার্থী হতে আগ্রহ দেখা যায়নি। গতকাল পরিবেশ ও বন উপ-মন্ত্রী আলহাজ্জ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমনটাই জানিয়েছেন।
এদিকে ছোট-খাট শরীক দল গুলোও পৌর নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্র থেকে তাদের নির্দেশনা রয়েছে স্ব-স্ব দলীয় প্রার্থীর নির্বাচন করতে হবে। জাতীয় পাটিও আলাদা প্রার্থী দিবে বলে উপজেলা জাতীয় পাটির নেতা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আলহাজ্জ আলাউদ্দিন জানান, আমরা যোগ্য প্রার্থী খোঁজছি। যদি না পাওয়া যায় তাহলে দল আমাকে মনোয়ন দিতে পারে।