শনিবার ● ১২ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে পিএসপির উত্তরপত্র নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
চরফ্যাশনে পিএসপির উত্তরপত্র নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ
আদিত্য জাহিদ : ভোলার চরফ্যাশনে গত বছরের মত এবারও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপণি পরীক্ষার উত্তরপত্র নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু উত্তরপত্রে কোড নাম্বার না দিয়েই অন্য উপজেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে মূল্যায়নের জন্য। আবার কিছু উত্তরপত্রের উপরের অংশ ছেড়া হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দাবি এটা ভুলবশত হয়েছে। তবে অবিভাবকদের অভিযোগ গত বছরের মত এবারও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে এটা করা হয়েছে। যাতে চরফ্যাশনের একটি নির্দিষ্ট স্কুলের উত্তরপত্র কোন উপজেলায় পাঠানো হয় তা সহজে জানা যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের যোগসাজসে একটি চক্র প্রাথমিক সমাপণি পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত থাকে। গত বছরের ন্যায় এবারও একই পদ্ধতিতে তারা উত্তরপত্র চিহ্নিত করার কৌশল অবলম্ভন করেছেন। তারই অংশ হিসেবে ইংরেজি বিষয়ের ৪০০ উত্তরপত্রে কোড নাম্বার দেওয়া হয়নি। আবার কিছু কোড নাম্বার দেওয়া উত্তরপত্রের উপরের অংশ (ওএমআর) না ছিড়ে জমা দেওয়া হয়। এসকল উত্তরপত্রগুলো দৌলতখান উপজেলায় আসার পর বিষয়টি জানা জানি হয়। পরে চরফ্যাশনের উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল আহম্মেদসহ ওই চক্রের সদস্যরা এসে কোড নাম্বার লিখে দিয়েছে এবং ও এমআর ছিড়ে নিয়েছেন। আর এই ফাঁকে যা করার তাই করা হয়েছে।
এব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল আহম্মদের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে এড়িয়ে যান। তবে দৌলতখান উপজেলার শিক্ষা অফিসার শাহাবুদ্দিন বক্তিয়ার বলেন, এটা হয়তো ভুলবশত হয়েছে। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসে তা সংশোধন করেছেন।
এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইয়াদুজ্জামান বলেন, এবিষয়টি আমার সঠিক জানা নেই। এটি দৌলতখান ও চরফ্যাশন শিক্ষা অফিসারের বিষয়, তাদের সাথে কথা বলে নিন।
উল্লেখ্য, গত বছর একই প্রক্রিয়ায় অর্থবাণিজ্য করতে গিয়ে ধরা পড়ার পর পত্রিকা ও টেলিভিশনে শিক্ষকদের উত্তরপত্র বাণিজ্য সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত সাপেক্ষে চার শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।