শনিবার ● ২১ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » এখন অবৈধ ঔষুধ ব্যবসায় অভিমান্য দাস
এখন অবৈধ ঔষুধ ব্যবসায় অভিমান্য দাস
চরফ্যাশন প্রতিনিধি : চরফ্যাশন পৌর শহরের প্রিন্স বিপণীর প্রোপাইটর ও লালমোহন লর্ডহার্ডিঞ্জ জিএম নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিমান্য দাস শিক্ষকতার ফাঁকি দিয়ে করছেন গার্মেন্টস ব্যবসা । এখন আবার সদর রোডে “প্রিন্স মেডিকেল” নামে নতুন করে খোলে বসেছে অবৈধ ওষুধ ব্যবসা। সরকারি বিধি অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি ঔষুধ ফার্মেসী দিতে হলে তার ড্রাগ লাইসেন্স ও বিক্রয় করার জন্যে ফার্মাসীস্ট সার্টিফিকেট প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু অভিমান্য দাসের জন্য সেটা প্রয়োজন নেই। কারণ তিনি হলেন সিজনশীল নেতা? তাই তিনি এসকল আইনকে তোয়াক্কা না করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে তার এ অবৈধ ঔষুধ ব্যবসা।
সূত্রে জানা গেছে, লালমোহন লর্ডহার্ডিঞ্জ জিএম নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অভিমান্য দাস শিক্ষকতা ফাঁকি দিয়ে চরফ্যাশন পৌর শহরে করছেন গার্মেন্টস ব্যবসার পাশাপাশি এখন আবার সদর রোডে “প্রিন্স মেডিকেল” নামে নতুন করে খোলে বসেছে অবৈধ ওষুধ ব্যবসা। এই ব্যবসায় তিনি মানছেন না কোন নিয়ম কানুন। দল বদল করে সকল অপকর্ম করে যাচ্ছেন তিনি। এই বিষয় দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারের ওষুধ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরাও এই বিষয় দেখছেনা বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ওষুধ বিক্রেতা মহাদেব নামক ব্যাক্তি ওষুধ বিক্রয়ের জন্যে আইন মোতাবেক ফার্মসীষ্ট সার্টিফিকেট থাকার কথা থাকলেও প্রিন্স মেডিকেলের ওষুধ বিক্রেতার কোন ফার্মসীস্ট সার্টিফিকেট বিহীন ওষুধ বিক্রয় করে বেড়াচ্ছেন দেদারছে।
এব্যাপারে অভিমান্য দাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ড্রাগ লাইসেন্স করতে দিয়েছি, ফার্মসীস্ট সার্টিফিকেটের বিষয় জনতে চাইলে তিনি বলেন তা রয়েছে।
চরফ্যাশন ফার্মাসীস্ট এন্ড ড্রাগ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রিন্স মেডিকেল হলের ড্রাগ ও ফার্মসীস্ট সার্টিফিকেট বলতে কিছুই নেই। তবে আবেদন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে বরিশাল ড্রাগ লাইসেন্স অফিসের অফিস সহকারী জাফর বলেন, প্রিন্স মেডিকেল হলের কোন লাইসেন্স হয়নি। লাইসেন্স বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। সরকার নির্দেশনা দিলে পরবর্তীতে লাইসেন্স দেওয়া হবে।