রবিবার ● ১৫ নভেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » কৌশলী অভিমান্য তুমি কার ?
কৌশলী অভিমান্য তুমি কার ?
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: সাবেক জোট সরকার বিএনপির আমলেরও তিনি ছিলেন প্রভাবশালী নেতা? বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেও তিনি হেভিওয়েট এক জন নেতা? সব আমলেই আছেন এবং থাকবেন এটাই তার ভাষা ? তার নয়া কৌশল ও প্রভাবের কাছে সব আমলের নেতারা হয়ে পড়েন কোন ঠাসা। তিনি হলেন লালমোহন লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের জিএম নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও চরফ্যাশন পৌর শহরের বিপণীর প্রোপাইটরের পরিচালক অভিমান্য দাস।
জানা গেছে, সাবেক জোট সরকার (বিএনপি)‘র আমেল তৎকালীন পানি সম্পদ মন্ত্রী মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম এমপি ও ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনের সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের সাথে কৌশল অবম্ভন করে নীতি ও আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে চরফ্যাশনের ক্ষমতা পিপাসু হয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে কবজা করে রাখার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এ প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে তিনি একাধারে শ্রী শ্রী কালি বাড়ীর পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে বসেন। ওই পদে বহাল থাকার জন্য বর্তমান আ’লীগ সরকারের আমলেও উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নুরুনবী চৌধুরী শাওনের অনুসারী বলেও দল বদল করেন। দীর্ঘ একযুগ ধরে এই সম্পাদক পদে নিয়ে বহাল তবীয়তে থাকায় চরফ্যাশন পৌর শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছেন । যে সরকারই ক্ষমতায় আসেন ওই সরকারের নেতা হয়ে এই সকল পদ পদবী গুলো অধিষ্টিত হয়ে তার সকল অপকর্মকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যান বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
এলকাবাসী বলেন, লালমোহন উপজেলার অর্ন্তগত জিএম নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে না গিয়ে চরফ্যাশন পৌর শহরে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটর হয়ে দেদারছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেখা শুনা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের কয়েক জন শিক্ষক ও একাধিক অভিভাবক বলেন, তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হলেও থাকেন পাশের উপজেলা চরফ্যাশনে। তেমন একটা বিদ্যালয়ে আসেন না। মাঝে মধ্যে আসলেও নিজের ব্যক্তিগত কাজ সেরে দ্রুত চলে যান।
চরফ্যাশন পৌরশহরের কয়েক জন ব্যবসায়ী বলেন, আমরা জানি অভিমান্য দাস একটা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ। তিনি সারা দিন চরফ্যাশন বাজারে প্রিন্স বিপণী নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ২য় তলায় সহ তারা কয়েকটি নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশে বসে পরিচালনা করেন।
চরফ্যাশনের ব্যবসায় ও লালমোহনে বিদ্যালয়ে চাকুরী করার সুধাদে তিনি বিএনপি-আওয়ামীলীগ তার কাছে বিষয় নয়। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রসার বাড়াতে ও বিদ্যালয়ের প্রধানের দায়িত্বকে টিকিয়ে রাখতে যা প্রয়োজন তাই করেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
জোট সরকারের আমলে অভিমান্য দাস পৌর বিএনপির সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে হাক-ডাক দিয়ে হিন্দু সম্পদায়ের কাছে বিএনপির বড় মাপের নেতা হিসাবে শ্রী শ্রী কালিবাড়ীর পূজা কমিটির পদ পদবীসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে কৌশলে আবারও পৌর আওয়ামীলীগের একই পদ দখল করে পুণরায় হিন্দু সস্প্রদায়ের নিকট বড় নেতা হিসাবে কালিবাড়ীর পূজা কমিটিতে স্থান করে নিয়ে আবার গোপনে বিএনপির সাথে আতাত রয়েছে বলেও কানা ঘুষা চলছে।
অভিমান্য দাস একের পর অনিয়ম করে গেলে চরফ্যাশন ও লালমোহন এলাকার হিন্দু সম্প্রদায় তার লোকজন তার বিরুদ্ধে মুখ খোলতে চাচ্ছে না কারণ তিনি সব আমলেই ক্ষমতাধর ব্যক্তি আর্শিবাদ পুষ্ট হয়ে থেকে কাকে কোন সময় বিপদে ফেলে দেন এই ভয়ে ।
এব্যাপারে অভিমান্য দাসের সাথের ব্যবহীত মোবালইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়াযায়নী
অভিমান্য দাস সকল আমলে প্রভাবশালী। আসলে তিনি কি আওয়ামীলীগ না বিএনপির নেতা এখন একটাই প্রশ্ন চরফ্যাশন পৌরবাসীর? চলবে..