শনিবার ● ১৬ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » ফটোগ্যালারী » একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে: মাহি
একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে: মাহি
আরশাদ আদনান নামের এক প্রযোজকের সঙ্গে আপনার গোপনে কলকাতায় যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে…
সে প্রযোজক, আমি হিরোইন। তাঁর কাজ ছবি প্রডিউস করা আর আমার কাজ তাঁর ছবিতে কাজ করা। আমি অতটুকু দেখব। এর বাইরে আর কিছুই দেখছি না। তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ থাকতেই পারে। এটাকে অতটা বাঁকা চোখে দেখার কিছুই দেখছি না। আমরা কলকাতায় গিয়েছিলাম ছবির মিটিং করতে। প্রযোজক আদনান, ব্যক্তি হিসেবে কেমন তা আমার কাছে ম্যাটার করে না। আমি তাঁকে প্রযোজক হিসেবেই চিনতে চাই। এর বেশি আর কিছু না। ব্যক্তি হিসেবে কে কেমন তা যদি আমি দেখতে চাই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকের সঙ্গেই আমার কাজ করা সম্ভব হবে না। আমি যে পেশায় আছি কেউ সে পেশার প্রতি সৎ আছে কী না সেটাই আমার দেখার বিষয়।’
কলকাতায় আপনারা নাকি শুধুই ঘুরতে গিয়েছেন?
আরশাদ আদনানকে কমবেশি সবাই চিনি। তাঁর সঙ্গে যদি আমার কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে তাহলে তার জন্য কলকাতায় যাওয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আমরা অন্য কোথাও যেতে পারি। আমি বলতে চাই, কলকাতায় আমাদের শুধু একটা মিটিং ছিল। আমার ভালো ছবি করতে হবে। সেখানে একটা ভালো অফার ছিল। সেই কারণে ওখানে আমারও থাকার কথা ছিল। কারণ, এই ছবিটির ব্যাপারে আরশাদ আদনানের সঙ্গে কলকাতার লোকজনের আমার মাধ্যমে যোগাযোগটা হয়েছে। এখানে আর কিছুই না।
কলকাতায় চুপিসারে আপনাদের একসঙ্গে যাওয়ার ব্যাপারটি সবাই টের পাওয়ার পর নাকি তড়িঘড়ি করে দেশে ফিরে এসেছেন। তাও আবার আলাদা হয়ে …
এটা পুরোপুরি বানোয়াট কথা। যত দূর জেনেছি, আদনানের কক্সবাজারে কীসের যেন শুটিং ছিল। সে কারণে সে তাড়াতাড়ি চলে আসে। আর আমার ড্রেস ডিজাইনারের সঙ্গে অন্য মিটিং থাকার কারণে পরে আসতে হয়েছে।
ছবি নিয়ে আপনারা কার সঙ্গে মিটিং করেছেন?
আমরা দুটি ছবি নিয়ে কথা বলেছি। একটি ছবির ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কথা হয় দেব আর অন্যটি নিয়ে কথা হয় রানা সরকার নামের একজন প্রযোজকের। আমাদের মিম আর সোহম যে ছবিটির কাজ করবেন সেটিরই প্রযোজক রানা সরকার।
আপনারা গেলেন সন্ধ্যায়। দুইটা মিটিং করলেন কখন?
যেহেতু আরশাদ আদনানের ফেরার তাড়া ছিল তাই দ্রুতই দুটি মিটিং সারতে হয়েছে। রাতে গেলাম, রাতেই দুটি মিটিং সেরেছি। এরপর উনি ওনার মতন আমি আমার মতন। আসার সময় তো আর আমাদের একসঙ্গে আসার দরকারও নাই।
মিটিংগুলো কোথায় করেছেন?
জায়গাটার কথা এই মুহূর্তে মনে করতে পারছি না। ছবির মিটিং করতে গেলে আপনাদের দুজনকে নিয়ে এত কথা হচ্ছে কেন?
আমি এ ব্যাপারে কোনো কিছুই বলতে পারছি না। আমাকে ভয় দেখানোর জন্য কিংবা আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য একটা চক্র কিংবা কেউ একজন উঠেপড়ে লেগেছে। হয়তো তিনি অথবা তাঁরা ভাবছেন, আমি এসবে ভয় পেয়ে তাঁদের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করব। তবে আমি মোটেও এসব নিয়ে ভাবছি না।
কারা তারা …
এই ব্যাপারে এখনো কিছুই বলতে চাচ্ছি না। সময় হলে সবাই তা জানতে পারবেন।
অনেকেই বলছেন, জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর আপনার সঙ্গে এসব ঘটছে?
অনেকে এটার সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন। অনেক শুভাকাঙ্খিও আমাকে এভাবেই বলেছেন ব্যাপারটা। আমি বিশ্বাস করতে চাই না। আমি আরও সময় নিতে চাচ্ছি। সময়ই সব বলে দেবে।
জাজ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানের নতুন ছবিতে আপনাকে আর দেখা যাচ্ছে না কেন?এই প্রতিষ্ঠানের প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমাকে অনেক বড় সুযোগ করে দিয়েছেন। তাঁদের কারণে আমি মাহি হতে পেরেছি। আমার আজকের যা চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার এটার ৫০ ভাগ জাজ মাল্টিমিডিয়ার বদৌলতে। বাকি ৩০ ভাগ আমার ভাগ্য এবং ২০ ভাগ আমার পরিশ্রম। প্রতিষ্ঠানটি আমাকে জানিয়েছিল, তারা বছরে ১২টি ছবি করবে। এখন দেখছি পরিস্থিতি কিছুটা ঘোলাটে। তাই সরে আসতে হয়েছে। তবে আমি বিশ্বাস করতে চাই, জাজ মাল্টিমিডিয়া আমার শুভকাঙ্খি।
আপনার এখনকার কাজ কি চলছে?
আমি এই মুহূর্তে একটি ছবির কাজ করছি। নাম ‘অগ্নি ২’। ২০ তারিখে ছবিটির কাজের জন্য আবার ভারতে যাচ্ছি। এ ছাড়া সামনে সৈকত নাসিরের পুলিশগিরি নামের নতুন আরেকটি ছবির কাজ করার কথাও রয়েছে। কিন্তু ছবিটি যেহেতু জাজ মাল্টিমিডিয়ার তাই এই ছবিটিতে আমার আদৌ কাজ করা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে।