বৃহস্পতিবার ● ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে অরক্ষিত বনের হরিণ
চরফ্যাশনে অরক্ষিত বনের হরিণ
আদিত্য জাহিদ• ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরকুকরী মুকরী, ঢালচর ও চরফ্যাশন রেঞ্জের বন বিভাগের আওতায় বাগানে বিভিন্ন প্রজাতির ৪০ থেকে ৫০ হাজার হরিণ শিকারীদের কারনে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। প্রায়ই প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের অভিলাষ পুরণের জন্য হরিণ শিকার করা হচ্ছে বলে গুঞ্জণ উঠেছে। অপরদিকে পার্শ্ববতী জেলা পটুয়াখালীর এলাকার শিকারীরা রাতে বনে প্রবেশ করে হরিণ শিকার করে পালিয়ে যায় বলে চর ইসলাম ক্যাম্পোর ইনচার্জ নজরুল ইসলাম দাবী করেছেন। তিনি জানান, আমাদের জনবল কম হওয়া সহ দ্রুত নৌ বাহন না থাকার কারনে শিকারীদের আটক করা সম্ভব হয়না। নজরুল নগর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাবুল হাওলাদার জানান, প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের কবলে পড়ে হরিণ বিলুপ্তির পথে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে,জলবায়ু পরিবর্তন ও বনের মধ্যবতী খালে বিষ প্রয়োগ করে জেলেদের মাছ শিকার, বাগানের পাতা পানিতে পচেঁ যাওয়ার কারনে দুষিত পানি হরিণ গুলো পান করে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মরে যাচ্ছে। অনেক সময় চরফ্যাশনের হরিণগুলো শিকারীদের ধাওয়া খেয়ে বা দলছুট হয়ে লোকালয়ে চলে আসে। ইতিমধ্যে জেলেদের জালে আটক হরিণটিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও চরফ্যাশন প্রাণিসম্পদ বিভাগে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায় হরিণ। ২০১১ সালের জুলাই মাসের ২০ তারিখে চরকুকরী মুকরীর বাগান থেকে শিকারীদের ধাওয়া খেয়ে রাতে নদী পার হয়ে সকালে চরমানিকা এলাকায় জনতার হাতে মায়া হরিণ আটকের সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ আইচা থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ ম.এনামূল হক সহ উদ্ধার করে পরে বাগানে অবমুক্ত করেন।
সম্প্রতি নজরুল নগর ইউনিয়নের নিকটবর্তী চরফ্যাশন রেঞ্জের আওতায় চর ইসলাম বাগান থেকে হরিণ শিকার করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ভোজনবিলাস করেছে বলে চরমানিকা বিটের কর্মকর্তা খলিলুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বনবিভাগের কর্মীরা রাতে তোয়ায়েল মাষ্টারের বাড়িতে হানা দিয়ে ৩০ আগষ্ঠ হরিণে চোয়াল মাথার খুলির একাংশ উদ্ধার করে ৪/৫ জন কে বিবাদী করে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলে বিট কর্মকর্তা খলিলুর রহমান জানিয়েছেন।
চর কুকরী মুকরী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাজেদুল আলম জানান, তার রেঞ্জেই বিভিন্ন প্রজাতির ২৫-৩০ হাজার হরিণ সহ বন্য প্রাণি রয়েছে। চরফ্যাশন রেঞ্জ ও ঢালচর এলাকার বনে হরিণের সংখ্যা কুকরী মুকরী এলাকার চেয়ে কম রয়েছে।