বুধবার ● ২ সেপ্টেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশনে চলছে গরু মোটা তাজা করণ
চরফ্যাশনে চলছে গরু মোটা তাজা করণ
আদিত্য জাহিদ• ঈদুল আযহাকে টার্গেট করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অর্ধ শতাধিক গরু খামারীরা মানবদেহের জন্য মারাতœক ক্ষতিকর ডেক্্রামেথাসন, ডেক্্রাভেট, ও বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপ্্েরাহেপ্টাডিন নামক ট্যাবলেট ও ইনজেকশন প্রয়োগ করে ফলে অল্প সময়ের মধ্যে গরুর লিভার ফুসফুস, কিডনি আক্রান্ত হয়ে মোটাতাজা হয়ে যায়। গরু মোটাতাজা করন পদ্ধতি শুরু করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সুত্র জানালেও খামারীরা অস্বীকার করেন। উপজেলার পৌরসভা, দুলার হাট, জনতা বাজার, শশীভূষণ, মাদ্রাজ, চরমানিকা, নজরূল নগর, এলাকা সহ প্রায় অর্ধশত খামার রয়েছে বলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। ঈদের আগে ভাগে এসকল গরু গুলোকে বাজারজাত করা হবে বলে সরকারী সুত্র গুলো সত্যতা স্বীকার করে চরফ্যাশন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, শিঘ্রই প্্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হিরন্ময় দাস সহ প্রায় অর্ধশত খামারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ছিদ্দিকুর রহমান জানান, এসকল গরুর গোশত খেলে মৃত্যু সহ মানুষের লিভার, কিডনি, হার্ট ও ফুসফুসে পানি জমে শারিরীক ওজন বেড়ে যাওয়া ও স্থায়ী ভাবে অসুস্থ্য হওয়ার ঝুঁকি সহ ডায়াবেটিস রোগ দেখা দিতে পারে।
চরফ্যাশন উপজেলা প্্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হিরন্ময় দাস জানান, খামারীরা কোরবানী ঈদের ২/৩ মাস পুর্বে দুর্বল প্রকৃতির গরু কম দামে বিভিন্ন বাজার থেকে ক্রয় করে অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ওষুধ গরুকে প্রয়োগ করে। ফলে গরুর লিভার, ফুসফুস সহ চামড়ার নিচে পানি জমে অল্প সময়ে মোটা তাজা হয়ে যায়। এসকল গরু গুলোর মাংস ভক্ষণ করলে মানুষের ও একই ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভবনা থাকে।