বুধবার ● ১৯ আগস্ট ২০১৫
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই: জেলে পল্লীতে শুধুই হতাশা
ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই: জেলে পল্লীতে শুধুই হতাশা
আদিত্য জাহিদ• ইলিশের ভরা মৌসুমের দুই মাস অতিবাহিত হলেও দেখা মিলছেনা মেঘনা ও তেতুঁলিয়ার জেলের জালে। দাদনের বেড়াজালে আবদ্ধ জেলেদের পরিবারে অভাব অনটন দেখা দিয়েছে। ৩০/৪০ হাজার টাকার বাজার ও বরফ ক্রয় করে পনের দিনের জন্য গভীর সমুদ্রে গিয়ে জাল ফেলে শুন্য হাতে প্রতিনিয়ত ঘাটে ফিরছে জেলেরা। নদীতে মাছের আকালের কারণে অনেক জেলে ঘাটে অলস সময় কাটাচ্ছেন। সামরাজ স্লুইজ গেইট, ঢালচর, পাতিলা, চরকুকরী মুকরী, মনুরা, দুলারহাট, ঘোষেরহাট, কলমীর বকসী বাজার, নজরুল নগর স্লুইজ বাজার, আট কপাট, হাজারী গঞ্জ, বাসীর দোন, কচছপিয়া স্লুইজ বাজার সহ জেলার বিভিন্ন পয়েন্টের ঘাটগুলোতে আড়ৎদাররা রুপালী ইলিশের জন্য প্রহর গুণছেন। এই সময়ে প্রতিটি নৌকায় এবং ট্রলারে মাছ শিকারের আনন্দে গান বাজনায় ঘাটে জেলেদের মাতোয়ারা করে রাখতো অথচ দুই মাসেরও বেশী সময় পার হলেও দেখা মেলেনি সোনার হরিণের মত রূপালী ইলিশের । দুঃখ হতাশা আর ক্ষোভ প্রকাশ করে আড়ৎদার বাবুল, মন্নান, জনু ফকির বলেন, বৈশাখ মাসে জেলেদের ৩০/৪০ লক্ষ টাকা দাদন দিয়ে রেখেছি অথচ আজ পর্যন্ত গদিতে কোন মাছের সন্ধান মেলেনি। প্রতিদিন গদির খরচ গুণতে হয়। ঘাটের বাজার গুলোর বর্তমান অবস্থা ও বেগতিক। অসহায় হয়ে পড়েছে দোকানীরা। নেই কোন বেচাকেনা, বকেয়া টাকা আদায়ের আশায় আরও টাকার সওদা দিতে গিয়ে হাফিয়ে উঠেছে দোকানীরা । এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, জলবায়ু পরিবর্তন ও জাটকা নিধনের কারনে নদীতে মাছ ধরা পড়ছেনা । জেলে পল্লী গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নদীতে মাছ না পাওয়ার কারনে জেলেদের দাদন ও এনজিওর কিস্তির বেড়াজালে আবদ্ধ থাকায় অর্ধাহারে, অনাহারে দিনাতিপাত করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে জেলেদের। অনেক জেলে পেশা পরিবর্তন করে জীবিকার তাগিদে জেলার বাহিরে গিয়ে রিক্সা চালাচ্ছেন বলে তাদের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছেন।