শনিবার ● ১২ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » রাজনীতি » কথায় কথায় দাবি করলেতো হবে না: প্রধানমন্ত্রী
কথায় কথায় দাবি করলেতো হবে না: প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কথায় কথায় দাবি করলেতো হবে না। একটা দেশের কল্যাণ কিভাবে করতে হয়, উন্নয়ন কিভাবে করতে হয় আমরা তা ভালোই জানি। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি ইঙ্গিত করে শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। খবর: বাসস।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্যের বাংলোতে হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাড়িতে আক্রমণ করা হলো। আমরাওতো আন্দোলন করেছি, সেই ’৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিলে চলে এসেছি। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়েছি আন্দোলনে ছিলাম।
তিনি বলেন, ভিসির বাড়ি ভিতরে ঢুকে তার রুমে লুটপাট করা, রুম ভাঙ্গা, তাকে ধাক্কা দেয়া- এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা কোনো ইতিহাসে ঘটেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, তদন্ত চলছে। ইতোমধ্যে অনেকে ধরা পড়েছে এবং আরও ধরা পড়বে। এর সঙ্গে যারাই জড়িত আর ওই লুটপাট যারাই করেছে তাদের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমি নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি বলেন, আর কথায় কথায় দাবি করলেতো হবে না। একটা দেশের কল্যাণ কিভাবে করতে হয়, উন্নয়ন কিভাবে করতে হয়, কিভাবে শিক্ষার মান উন্নত করতে হয়, শিক্ষার পরিবেশ কিভাবে রক্ষা করতে হয়, কিভাবে শিক্ষিত জাতি গড়ে তুলতে হয়, আমরা তা ভালই জানি। আর জানি বলেই আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ধন্যবাদ জানাবো আজকে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের, যে অন্তত শিক্ষার পরিবেশটা তারা বজায় রাখতে পেরেছে। এই নয় বছরে দু-একটা ঘটনা ছাড়া এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভিসির বাড়িতে আক্রমণ, শিক্ষকদের অপমান করা- এ ধরনের কোনো ঘটনা আমি আর চাই না এখানে ঘটুক।
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শিক্ষকদেকেও আমি বলব- শিক্ষকরা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে লাগবে, দ্বন্দ্ব করবে আর তার ফল ছাত্ররা ভোগ করবে, সেটাও আমি চাই না। শিক্ষকরা যদি শিক্ষকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ায় তাহলে ছাত্ররা শিখবেটা কী? কারো যদি কিছু বলার থাকে বলবেন, আমরাতো দেখবো।
দিনে ৫/৬ ঘণ্টা ছাড়া সমস্ত দিন দেশের কাজে ব্যয় করেন এবং যে কেউ যেকোনো সমস্যা নিয়ে তার কাছে গেলে এর প্রতিকারে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তবে কোনো কিছু নিয়ে বাড়াবাড়ি করা আমরা কিন্তু বরদাশত করব না।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ধ্বংসাত্মক কাজে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন এ থেকে শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহণ করে তার জন্য। এটাকে অপব্যবহার করার জন্য নয়।
এসময় সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির পুনরোল্লেখ করে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ এবং মাদক থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী সবাইকে রাস্তায় চলাচলের জন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সর্বত্র পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্যও সকলকে পরামর্শ দেন।
এর আগে বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে প্রথমে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন এবং এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।