শনিবার ● ১২ মে ২০১৮
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » বেগুনে আগুন, চিনি-পেঁয়াজের দরও চড়া
বেগুনে আগুন, চিনি-পেঁয়াজের দরও চড়া
ডেস্ক: রমজান শুরু হতে আরো ৬ দিন বাকি। এর মধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে চিনি, পেঁয়াজ, বেগুনের দাম বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রামপুরা বাজারে আসা বলেন, ‘রমজান ব্যবসায়ীদের জন্য যাদুর কাঠি। এ সময়ে তারা প্রত্যেকটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রমজানে কোনো পণ্যের দাম বাড়বে না, নিয়ন্ত্রণ করা হবে। আসলে রমজান শুরুর আগেই সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ানো হয়ে গেছে।’
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি চিনির দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতি কেজি চিনি ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার তা ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আয়নাল হক নামে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চিনির দাম বেড়েছে ২৫০ টাকা। দাম সমন্বয় করতে গিয়ে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এ ছাড়া গত সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রয় হলেও চলতি সপ্তাহে তা ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। পাশাপাশি আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অধিকাংশ সবজির দাম কম বাড়লেও বেগুনে আগুন লেগেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইফতারি উপকরণে ব্যবহৃত লম্বা বেগুনের দাম। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি লম্বা বেগুন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রয় হলেও শুক্রবার তা ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর কাল ও সাদা গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
এ ছাড়া ফুলকপি প্রতিটি ২৫ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ২৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা কেজি, বরবটি ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, কাকরল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, শশা ২০ থেকে ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, টমেটো ২৫ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে মাংসের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।