শনিবার ● ৩১ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » এক মাসেও সরকারি চাল পায়নি জেলেরা
এক মাসেও সরকারি চাল পায়নি জেলেরা
চরফ্যাশন প্রতিনিধি: চরফ্যাশন উপজেলার জেলেরা সরকারি বরাদ্দের চাল ইউপির চেয়ারম্যানদের গাফলতির জন্য পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে সরকারি এই সহায়তা বঞ্চিত হয়ে জেলে পাড়ার অধিকাংশ পরিবার দূর্ভোগে জীবন-যাপন করছে। সরকারের অভয়শ্রম নিষেজ্ঞা পালন অমান্য করে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরছে।
জানা গেছে, ভোলার ইলিশা এলাকার মেঘনা থেকে চরপিয়াল, তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালির চর-রুস্তম পর্যন্ত ১১০কিলোমিটার এলাকাকে মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে ১মার্চ থেকে আগামী ৩০এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস নদীতে জাল ফেলা ও সব ধরণের মাছ ধরার উপর নিষেজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ।
চরফ্যাশন উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার নিবন্ধীত জেলে এখনও সরকারি বরাদ্দের চাল পায়নি। মৎস্য অফিসের বক্তব্য রয়েছে ভিন্ন। তাদের বক্তব্য হল স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানগণ বরাদ্দের চাল উত্তোলন করেনি। এই জন্য চাল বিতরণের বিলম্ব হচ্ছে।
সরেজমিন খেজুর খাছিয়া, সামরাজ, বেতুয়া, চরকচ্ছপিয়া, গাছিরখাল, ভায়রানী ,মেঘভাষাণ, বেড়ীবাঁধ, মৎস্য ঘাটের পরিদর্শন কালে একাধিক জেলেদের সাথে কথা হয়।
এর মধ্যে জেলে আঃ রহিম মাঝি জানান, কিছু জেলে আছে অবস্থা মোটামোটি ভাল বাকী জেলেদেরা দূর্ভোগ চরমে।
তিনি আরো বলেন, মার্চের ১ তারিখ থেকে আমাদের মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এক মাস চলে গেছে আমরা সরকারি কোন সহায়তা পাইনি। সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। দায়-দেনা করে চলছে আমাদের জীবন। অনেক পরিবারের অভিভাবক মাছ ধরা বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম-ঢাকা গিয়ে দিন মজুরের কাছ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সংসার চলছে।
সঠিক সময়ে সরকারি সহায়তা দেয়ার দিকনির্দেশনা থাকলেও জপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন অজুহতে গড়িমশি করেছে। চাল না পাওয়ায় অভাব অনটনে ও ঋণের টাকার সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধের চাপে বাধ্য হয়ে নদীতে মাছ ধরছে।
চরফ্যাশন উপজেলা মৎস্য অফিসার বলেন, যথ দ্রুত সম্ভাব আমরা চাল বিতরণ করার চেষ্টা করবো।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, দু’মাসের চালের ডিও ইস্যু করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানগণের মধ্যে কেউ কেউ চাল নিচ্ছেন।
-এফএইচ