সোমবার ● ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » চরফ্যাশন » চরফ্যাশন সড়কে দুগন্ধ, খালবাঁধে ময়লার স্তুপ
চরফ্যাশন সড়কে দুগন্ধ, খালবাঁধে ময়লার স্তুপ
এম আমির হোসেন, চরফ্যাশন প্রতিনিধি: সন্ধ্যা যখন ঘনিয়ে আসে মাছ বাজার সড়কে দুগন্ধ ছড়িয়ে পরে। নাকে রুমাল-টিস্যু দিয়ে চেপে ধরে দোকনীগণ ব্যবসায় করতে হচ্ছে। জনতা রোড পূর্বমাথা ব্রীজের ওপর দিয়ে পথোচারী যাতায়াতে গালমন্দ দিচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাছবাজার পৌরসভার উন্নয়ণমূলক কাজের ফলে বিশাল ভবন নির্মাণে পানি যাতায়াতে খাল বাঁধ দেয়া হয়। কিন্তু ময়লা আবর্জনার বিষয় কেউ দেখেনা। ওই খালে গরু জবাইয়ের সকল ময়লা আবর্জনা স্তুপ রাখায় যাতায়াত পথ দিয়ে চলাচল করা অসম্ভাব হয়ে পড়েছে। খালের পাড়ে বসবাসরত পরিবারগুলোর দুঃখ আর কষ্টের সীমা নেই। বসবাসরত ঘরের সামনের কপাট বন্ধ করে দুর্বিসহ জীবন-যাপন করতে হচ্ছে পৌরবাসী। একত জবাইয়কৃত গরুর ময়লা অপর দিকে ২টি মরা কুকুর আটকিয়ে থাকা ওই এলাকায়কে দুষিত করে ফেলছে মড়কগুলো। কোন স্বাভাবিক বিবেকভান মানুষ চোখে দেখে এবং গন্ধের বার বার মেয়র বাদল কৃষ্ণ দেবনাথের দিকে ইগিংত দিচ্ছে। তারা বলেন, মেয়র মহাদয় দেখলে তার সৌন্দর্যময় পৌরসভা এরকম পরিবেশ কখনো থাকতে দিতে পারেনা বলে যাতায়াতাকারী পথচারীরা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
পৌর ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইউনুছ তালুকদার বলেন,আমরা কাউন্সিলর আক্তারুল আমল সামু ভাইর মাধ্যমে মেয়র মহাদয়কে অবগত করতে বলেছি, মাছ বাজারের কাজ চলছে বিদায় কিছু করা নেই বলে জানিয়েছেন। এখন যে এতো দুগন্ধ এটা মনে হয় মেয়র মহাদয় জানেন না। মাছ বাজার সড়ক ওষুধ ফার্মেসী দিলীপ কুমার বলেন, দোকানদাগন নাখে তুলা কিংবা টিসুদিয়ে চেপে ধরে বসে ব্যবসা কার্যক্রম করতে হচ্ছে। আলহাজ্ব হানিফ এন্ড সন্স মুদি ব্যবসায়ী রফিজল ইসলাম শান্ত বলেন,মাছ বাজারের এতো দুগন্ধ মানুষ কিংবা আমরা ব্যবসায়ীরা দোকানদারী করাই কষ্টকর হচ্ছে।
এব্যাপারে মেয়র শ্রী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, কুকুর মরার গন্ধ শ্বাসনালীতে এফেক্ট করে। এর মতো দুগন্ধ আর কিছুই হতো পারে না। আমি কুকুর মরা দেখলে পেট্রল কিংবা কিরোসিন দিয়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখি। আমাকে এধরণের দুগন্ধের কথা সংশ্নিষ্ট কাউন্সিলর কিংবা কেউ জানায় নি। আজেই এর দ্রুত বিহীত ব্যবস্থা নিতেছি।
-এফএইচ